অন্ডকোষ কি?
ছেলেদের অন্ডকোষ ঝুলে যায় কেন? অন্ডকোষ ভালো রাখার উপায় কি? জানার আগে জানতে হবে অন্ডকোষ কি? অন্ডকোষ (টেস্টিস) হলো পুরুষ প্রজননতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এগুলো স্ক্রোটাম নামক একটি পাতলা ত্বকের থলিতে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। অন্ডকোষের দুটি প্রধান কাজ রয়েছে: শুক্রাণু উৎপাদন এবং টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরণ। শুক্রাণু উৎপাদন প্রজননের জন্য অপরিহার্য এবং টেস্টোস্টেরন পুরুষের যৌন বৈশিষ্ট্য, যেমন পেশী বৃদ্ধি, গভীর কণ্ঠস্বর, এবং শরীরের লোম বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
অন্ডকোষ বা টেস্টিস, পুরুষদের গোপন অংশে থাকা একটি বিশেষ থলি। এই গোল বা উপবৃত্তাকার দুটি অন্ডকোষ স্ক্রোটামের ভিতরে থাকে। এই অন্ডকোষ লক্ষ লক্ষ শুক্রাণু বা স্পার্ম তৈরি করে এবং তাদের সুরক্ষিত রাখে। এছাড়া, তারা টেস্টোস্টেরন হরমোনও তৈরি করে, যা পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য এবং প্রজনন ক্ষমতার জন্য অপরিহার্য। অন্ডকোষের স্বাস্থ্য রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম আহার এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা এই অঙ্গের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সহায়ক। স্ট্রেস এবং অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলি অন্ডকোষের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অন্ডকোষ ফুলে যাওয়ার কারণ
অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, এবং এটি যেকোনো বয়সী পুরুষের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। এতে কখনো ব্যথা থাকতে পারে, আবার কখনো ব্যথা নাও থাকতে পারে। অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া এক পাশে বা দুই পাশেই হতে পারে, এবং এর সাথে পুরুষাঙ্গও জড়িত থাকতে পারে। অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়ার কিছু সাধারণ কারণের মধ্যে রয়েছে আঘাত, হার্নিয়া, কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিওর, হাইড্রোসিল, অণ্ডকোষের প্রদাহ, অণ্ডকোষে প্যাঁচ খাওয়া, ভ্যারিকোসিল বা অণ্ডথলির শিরার স্ফীতি এবং কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এছাড়াও যৌনাঙ্গ এলাকায় সার্জারি পরেও অণ্ডকোষ ফুলে যেতে পারে।
আঘাতের ফলে অণ্ডকোষ ফুলে যেতে পারে এবং এর সাথে ব্যথা ও রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে। মূত্রনালীর সংক্রমণ, যেমন ইউরিনারি ইনফেকশন (UTI), এপিডিডাইমাইটিস বা অর্কাইটিস এর কারণে অণ্ডকোষে প্রদাহ এবং ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। হাইড্রোসিল একটি অবস্থা যেখানে অণ্ডকোষের চারপাশে তরল জমা হয়, যা অণ্ডকোষকে ফোলাতে পারে। স্পার্ম্যাটোসিল হল অণ্ডকোষের একটি ছোট, তরল পূর্ণ থলি, যা ফোলাভাবের কারণ হতে পারে।
ইনগুইনাল হার্নিয়া ঘটতে পারে যখন অন্ত্রের একটি অংশ পেটের দেয়ালের দুর্বল অংশের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে। এটি অণ্ডকোষ ফোলানোর অন্যতম কারণ। টেস্টিকুলার টর্শন একটি জরুরি অবস্থা, যেখানে অণ্ডকোষ তার রক্ত সরবরাহ থেকে বিকৃত হয়, যা তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
টেস্টিকুলার ক্যান্সার অণ্ডকোষের, যা অণ্ডকোষের ফোলাভাব সৃষ্টি করতে পারে। সিস্টিক ফাইব্রোসিস একটি জিনগত রোগ, যা শ্বাসযন্ত্র এবং অন্যান্য অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করে এবং এতে অণ্ডকোষের ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। হেমাটোমা হল অণ্ডকোষের ভেতরে রক্তক্ষরণ, যা ফোলাভাবের কারণ হতে পারে। অণ্ডকোষ ফুলে গেলে এটি অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক সঠিক কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন, যা আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিয়ের পর সহবাসের নিয়ম এবং কিভাবে মিলন করলে সন্তান হয়? বিস্তারিত জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে নিন।
অন্ডকোষ ছোট বড় হলে কি সমস্যা?
মানুষের অন্ডকোষ জন্মের সময় থেকেই বিভিন্ন আকারের হতে পারে। সাধারণত, বাম অন্ডকোষ ডান অন্ডকোষের চেয়ে কিছুটা ছোট হয়। তবে, যদি অন্ডকোষের আকার হঠাৎ করে বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়, তাহলে এটি কোনো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এটা স্বাভাবিক যে প্রায় সবারই একটি অন্ডকোষ ছোট এবং একটি বড়। তবে দুইটার মধ্যে অতিরিক্ত পার্থক্য থাকলে বা কোন ধরণের ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত।
অন্ডকোষের আকারের পরিবর্তনের সাথে সাথে অন্যান্য লক্ষণ যেমন অন্ডকোষের চামড়ার রঙ পরিবর্তন, ফোলাভাব বা কষে যাওয়া, এসব বিষয়গুলোকে গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত। সময়মতো চিকিৎসা না করালে, এটি ভবিষ্যতে বড় সমস্যার কারণ হতে পারে, যেমন প্রস্টেট ক্যান্সার,প্রোস্টেট এনলার্জমেন্ট এবং প্রোস্টাটাইটিস। তাই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং যে কোনো অস্বাভাবিকতা অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্ডকোষ ব্যাথার কারন কি?
অন্ডকোষ ব্যাথার অনেকগুলো সম্ভাব্য কারণ আছে। কিছু সাধারণ কারণের মধ্যে রয়েছে এপিডিডাইমাইটিস, অর্কাইটিস, টেস্টিকুলার টর্শন, ইনজুরি, এবং ক্যান্সার। এপিডিডাইমাইটিস অন্ডকোষের নালীর প্রদাহ যা ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অন্ডকোষের ব্যথা, ফোলাভাব, লালভাব এবং কোমলতা। অর্কাইটিস অন্ডকোষের প্রদাহ যা সাধারণত ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হয়। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অন্ডকোষের ব্যথা, ফোলাভাব, লালভাব এবং কোমলতা, জ্বর, বমি বমি ভাব এবং ক্লান্তি।
টেস্টিকুলার টর্শন ঘটে যখন রক্তনালী যা অন্ডকোষে রক্ত সরবরাহ করে মোচড়ানো হয়। অন্ডকোষে আঘাত, যেমন খেলাধুলার আঘাত বা গাড়ি দুর্ঘটনা, ব্যথা, ফোলাভাব এবং রক্তপাতের কারণ হতে পারে। অন্ডকোষের ক্যান্সার একটি গুরুতর কারণ, যা দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে মারাত্মক হতে পারে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অন্ডকোষে শক্ত গিঁট, অন্ডকোষের আকারে পরিবর্তন এবং ব্যথা।
অর্কাইটিস বা অন্ডকোষের প্রদাহ একটি সাধারণ রোগ যা সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়। এই রোগে অন্ডকোষে জ্বালা এবং প্রদাহ শুরু হয় যা একটি বা উভয় টেস্টিসের মধ্যে ঘটতে পারে। এই রোগটি সাধারণত ৪৫ এবং তার বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। অর্কাইটিসে আক্রান্ত হলে, রোগীকে প্রায়শই বিশ্রাম নিতে হয় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে, আইস প্যাক ব্যবহার করলে ফোলাভাব কমানো যায়। রোগটি সময়মত সঠিক চিকিৎসা না পেলে দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, তাই লক্ষণগুলি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
অন্ডকোষ না থাকলে কি হয় এবং অন্ডকোষ একটি থাকলে কি হয়?
অন্ডকোষ পুরুষের প্রজনন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলি শুক্রাণু তৈরি করে এবং পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ করে। অন্ডকোষ না থাকলে বা একটি অন্ডকোষ থাকলে বেশ কিছু শারীরিক ও মানসিক প্রভাব পড়তে পারে। অন্ডকোষ না থাকার ফলে পুরুষের প্রজননের ক্ষমতা হারিয়ে যায়, কারণ শুক্রাণু তৈরি হয় না। এছাড়া, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে শরীরের পেশী গঠন, শরীরের লোম এবং গভীর কণ্ঠস্বরের মতো পুরুষালি বৈশিষ্ট্যগুলিতে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এটি ক্লান্তি, বিষণ্ণতা এবং যৌন আগ্রহ হ্রাসের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। টেস্টোস্টেরনের অভাব হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করতে পারে, যার ফলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
মানসিক দিক থেকে, অন্ডকোষ না থাকলে অনেক পুরুষ তাদের পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে এবং ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া, যা সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে, অন্ডকোষের ক্যান্সার বা অন্য কোনো গুরুতর অসুখের কারণে একজন পুরুষের একটি অন্ডকোষ সরানো হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টেস্টোস্টেরন থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। এতে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব হয়।
এছাড়া, সন্তান ধারণের জন্য শুক্রাণু সংরক্ষণ করাও একটি উপায় হতে পারে। প্রথমে অস্বস্তিকর হলেও, এক পর্যায়ে অনেক পুরুষ এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম হন এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন। জীবন একটি সুন্দর উপহার এবং এর প্রতিটি মূহুর্তকে উপভোগ করতে শিখতে হবে, সেটা যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক না কেন।
পুরুষদের অন্ডকোষ ঝুলে যায় কেন? অন্ডকোষ ঝুলে যাওয়ার কারণ
অন্ডকোষ ঝুলে যাওয়ার (scrotal sagging) পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, এবং এ সমস্যাটি বয়স বাড়ার সাথে সাথে আরও প্রকট হতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বক এবং পেশীগুলির স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়, ফলে অন্ডকোষ ঝুলে যেতে পারে। অতিরিক্ত ওজনও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, যা ত্বক এবং পেশীগুলিতে চাপ সৃষ্টি করে, এবং এর ফলে অন্ডকোষ ঝুলে যেতে পারে। কিছু পুরুষ জিনগতভাবে এই সমস্যার ঝুঁকিতে বেশি থাকে। এছাড়া, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম হলে অন্ডকোষ ঝুলে যেতে পারে। কিছু ত্বকের অবস্থা, যেমন স্ক্রোটাল ডার্মাটাইটিস, ত্বককে প্রসারিত করতে পারে, ফলে অন্ডকোষ ঝুলে যেতে পারে।
দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে অন্ডকোষে রক্ত জমা হতে পারে, যা অন্ডকোষ ঝুলে যাওয়ার কারণ হতে পারে। ভারী বস্তু বহন করাও ত্বক এবং পেশীগুলিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে অন্ডকোষ ঝুলে যেতে পারে। এছাড়াও, কিছু ঔষধ, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং কিছু চিকিৎসা অবস্থাও অন্ডকোষ ঝুলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে, এই সমস্যাটি নিয়ে না ভেবে, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন, নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনি এই ঝুঁকি কমাতে পারেন। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং নিজের যত্ন নিন। মানব শরীরের পরিবর্তনগুলি স্বাভাবিক, তাই সচেতন থাকা এবং সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আরও জানুন: ভায়াগ্রা ট্যাবলেট এর নিরাপদ বিকল্প হতে পারে তরমুজের বীজ
অন্ডকোষ ভালো রাখার উপায় কি?
প্রতি মাসে নিজের অন্ডকোষ পরীক্ষা করুন কোনো গোলা বা ফোলাভাব আছে কিনা। যদি আপনি কিছু অস্বাভাবিক লক্ষ্য করেন, তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। সুষম খাদ্য খান যাতে প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং সম্পূর্ণ শস্য থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন। যৌন সংক্রমণ (এসটিআই) প্রতিরোধ করতে সুরক্ষিত যৌনতা অনুশীলন করুন। নিয়মিত গোসল করুন এবং আপনার যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখুন। অণ্ডকোষের রোগ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরোধের উপায় হচ্ছে ইউরিনের ইনফেকশন যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করা। অণ্ডকোষে যাতে কোনো আঘাত না লাগে এবং ট্রমা যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অনেক সময় তাপমাত্রার কথাও মাথায় রাখতে হয়। অনেকে সিনথেটিক আন্ডারগার্মেন্ট ব্যবহার করুণ, এগুলো না পরে কটনের ব্যবহার করুণ।
অণ্ডকোষের বিভিন্ন সমস্যার কারণে বন্ধ্যত্ব হতে পারে। প্রাইমারি টেস্টিকুলার ফেইলিউর হচ্ছে অণ্ডকোষে শুক্রাণু তৈরি না হওয়া। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে শুক্রাণু তৈরি হচ্ছে কিন্তু নালি দিয়ে আসছে না, সেখানে ব্লক হয়ে আছে। এ কারণে সন্তান হচ্ছে না, যাকে মেল ইনফার্টিলিটি বলা হয়। এর প্রতিকার ব্যবস্থা আছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো হয়ে যায়। নালি ব্লক থাকলে আমরা ব্লকটা ছুটিয়ে দিই বা এক নালির সাথে অন্য নালি জোড়া লাগিয়ে দিই। অন্ডকোষ ভালো রাখতে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন, কারণ এগুলো অন্ডকোষের স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক চাপ কমানোর জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং নিয়মিত ধ্যান বা যোগ ব্যায়াম করুন। সঠিক জ্ঞানের জন্য এবং সন্দেহ দূর করার জন্য ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন। নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন এবং প্রয়োজনীয় যত্ন নিন। আপনার জীবনযাত্রা সুস্থ ও আনন্দময় করুণ।
অন্ডকোষ ভালো রাখার খাবার
অন্ডকোষ ভালো রাখার খাবারের মধ্যে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলির উল্লেখ করা যেতে পারে, যেমন কমলা, লেবু, আনারস, ব্রোকলি এবং শালগম। ভিটামিন সি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং অন্ডকোষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া জিঙ্কও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা অন্ড্রোজেন হরমোনের উৎপাদনে সাহায্য করে। জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে লাল মাংস, সামুদ্রিক খাবার, বাদাম এবং বীজ। নিয়মিত ব্যায়াম করা অন্ডকোষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং শরীরকে সক্রিয় রাখে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ, যেমন স্যামন এবং টুনা। ফলের দিক দিয়ে অ্যাভোকাডোও অন্ডকোষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানির সঠিক পরিমাণে গ্রহণ শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং স্ট্রেস কমানোর কৌশলও অন্ডকোষের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অত্যধিক মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সব মিলিয়ে, একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করে আপনি অন্ডকোষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটানো, পছন্দের কাজ করা এবং মানসিক সুস্থতার দিকে নজর দেওয়া এক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাহায্য করে। আপনার সুস্থতা আপনার জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে, তাই নিজের যত্ন নিতে ভুলবেন না।
অন্ডকোষ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকা
ইয়েস মেন এ অন্ডকোষের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে। ইয়েস মেন (Yes Men) পুরুষের যৌন সমস্যার কথা ভেবে কম খরচে, আমাদের ফিজিওথেরাপিস্টরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চিকিৎসা করে আসছেন। “ইয়েস মেন”এ উন্নত মানের পেলভিক স্টিমুলেশন, শক ওয়েভ থেরাপি, আকুপাংচার, আরটিএমএস (rTMS) ও পি ই এম এফ (PEMF) দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়ে থাকে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে আজই যোগাযোগ করুন : +8801753631846.
তথ্য সূত্র
Cleveland Clinic – Testicles
Man Matters – 7 Ways to Make Your Testis Strong
Healthline – Why Do I Have Saggy Testicles, and Is There Anything I Can Do?
Medical News – Today What to know about sagging testicles
Viavein Center – What Every Man Should Know About Testicle Health
Menhood – Habits that will keep your balls healthy
সাধারণ জিজ্ঞাসা
পুরুষের অন্ডকোষ কী?
পুরুষের অন্ডকোষ হলো শুক্রাণু উৎপাদন এবং টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরণকারী একটি প্রজনন অঙ্গ।
অন্ডকোষ এর ইংরেজি নাম কি?
অন্ডকোষের ইংরেজি নাম হলো "Testicle"
অন্ডকোষ ফুলে গেলে কি করা উচিত?
অন্ডকোষ ফুলে গেলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কোন যৌন রোগের কারণে অন্ডকোষ ফুলে যায়?
যৌন রোগ যেমন ক্লামিডিয়া বা গনোরিয়া অন্ডকোষ ফোলার কারণ হতে পারে।
অন্ডকোষ ফোলা প্রাকৃতিক উপায়ে কমানোর উপায়?
অন্ডকোষ ফোলার প্রাকৃতিক উপায়ে আরাম পেতে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া যেতে পারে।
অন্ডকোষ শক্তিশালী করার খাবার কি কি?
অন্ডকোষ শক্তিশালী করার জন্য বাদাম, ডিম, পালংশাক, এবং মাছ খাওয়া উপকারী।
অন্ডকোষ বড় করার উপায়?
অন্ডকোষ বড় করার কোনো প্রাকৃতিক বা নিরাপদ উপায় নেই।
মানুষের পুরুষ প্রজনন অঙ্গ কোনটি?
মানুষের পুরুষ প্রজনন অঙ্গ হলো লিঙ্গ এবং অন্ডকোষ।