আকুপাংচার (Acupuncture)
আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি মুলত চাইনিজ ট্রেডিশনাল মেডিসিন (টিসিএম), প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে চায়নাতে এই চিকিৎসার উৎপত্তি ঘটে।
প্রতিটি জীবদেহে জৈব শক্তি থাকে, মৃতদেহে এই জৈব শক্তি থাকে না আবার অসুস্থ শরীরে এই জৈব শক্তির হ্রাস ঘটে তাই আকুপাংচারের মাধ্যমে ওই জৈব শক্তি ফিরিয়ে আনতে বা কার্যকর করা যায়।
এই চিকিৎসায় একধরনের সুচালো সুই (ফাইন নিডিল) ব্যবহার করা হয় যা শরিরের বিভিন্ন আকু-পয়েন্ট এ প্রবেশ করিয়ে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন বা সঞ্চালন ছাড়াই চিকিৎসা করা হয়।
আমাদের শরিরে ১২টি চ্যানেল বা লাইন এবং কিছু এক্সট্রা লাইন রয়েছে যাকে ইমাজিনারি লাইনও বলে, এই চ্যানেল গুলো আমাদের শরিরের বিভিন্ন অরগ্যান সিস্টেমে কাজ করে থাকে।
আকুপাংচার এর ফলে আমাদের শরিরে বিভিন্ন ধরনের হরমোন এনজাইম নিঃসৃত হয় যা ইমিউনিটি ব্যবস্থাকে অধিক তরান্বিত করতে পারে এবং ব্যাথা বা রোগ মুক্ত রাখে।
মানুষের ব্রেন থেকে কিছু সিগনাল বা সংকেত শরিরের দিকে যায় আবার কিছু সিগনাল বা সংকেত শরির থেকে ব্রেনের দিকে যায়, এই সিগনালের ব্যাঘাতের কারণে মানুষ অসুস্থ হয় যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
আকুপাংচার এর মাধ্যমে কিছু জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করা হয় যেগুলো কোন ঔষধ বা অপারেশন এ ভালো হয়না।
কি কি সমস্যায় আকুপাংচার চিকিৎসা ব্যবহৃত হয়
- বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা।
- স্ট্রোক জনিত প্যারালাইসিস।
- ঘাড় ও কোমড় ব্যাথা।
- মাংসপেশির ব্যাথা।
- স্নায়ুবিক উদবিগ্নতা।
- পুরুষের বন্ধ্যাত্বতা (অলিগোস্পার্মিয়া)।
- পুরুষের শুক্রাণুর গতি স্বাভাবিক না থাকা।
- দ্রুত বীর্যপাত।
- ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা।
- প্রস্টেটাইটিস।
- ইউরিন ইনকন্টিনেন্স।
- প্রসাবে জ্বালাপোড়া করা।
- মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব।
- মাসিকের সময় তলপেটে ব্যাথা হওয়া।
- পারকিনসন।
কেন আকুপাংচার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন?
- বিজ্ঞান সম্মত ও অধিক কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি।
- স্নায়ুবিক, শারীরিক ও রক্তসঞ্চলনে অধিক কার্যকর।
- নিরাপদ ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা।
- পার্শপ্রতিক্রিয়া বিহীন চিকিৎসা।
- অধিক হারে শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
বিস্তারিত জানুন: পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধানে শকওয়েভ থেরাপি, আকুপাংচার, ওজোন থেরাপি, আরটিএমএস এবং পেলভিক ফ্লোর স্টিমুলেশনের ভূমিকা কি?