Yes Men

কি খেলে অন্ডকোষ ভালো থাকে? অন্ডকোষে ব্যথা দূর করার উপায় কি?

কি খেলে অন্ডকোষ ভালো থাকে? অন্ডকোষে ব্যথা দূর করার উপায় কি?

কি খেলে অন্ডকোষ ভালো থাকে?

পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অন্ডকোষ ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রাণু উৎপাদন ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার দরকারি।

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন: মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। প্রোটিন শরীরের কোষ মেরামত ও নতুন কোষ তৈরিতে সহায়তা করে, যা অন্ডকোষ ও প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।

জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার যেমন: ঝিনুক এবং পশুপাখির কলিজা অত্যন্ত উপকারী, কারণ জিঙ্ক শুক্রাণু উৎপাদন এবং প্রজনন হরমোনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এবং ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

শাক সবজি, ফলমূল এবং দানাশস্যও পুষ্টির দিক থেকে সমৃদ্ধ, যা প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। বিশেষ করে পালং শাক, ব্রকলি এবং গাজরের মতো সবজি এবং কমলালেবু, স্ট্রবেরি, কিউই ইত্যাদি ফল ভিটামিন সি ও ফাইবার সরবরাহ করে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত পানি পানও শরীর সুস্থ রাখার জন্য অপরিহার্য। দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিটের হালকা ব্যায়াম শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য সাহায্য করে।

অতিরিক্ত প্রসেস করা খাবার, বিশেষ করে চিনিযুক্ত ও ফাস্টফুড, এড়িয়ে চলা উচিত। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং প্রজনন স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

অন্ডকোষ না থাকলে কি হয়?

অন্ডকোষ না থাকলে কি হয়?

অণ্ডকোষ হলো পুরুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, যা প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি অণ্ডকোষে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। অণ্ডকোষের সঠিক যত্ন নেওয়া এবং সমস্যা হলে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ। আসুন, অণ্ডকোষের কিছু সাধারণ সমস্যা এবং তাদের প্রভাব সম্পর্কে জানি:

১. ক্রিপঅর্কিডিজম: অণ্ডকোষ যথাস্থানে না থাকলে কী হয়?

যদি অণ্ডকোষ যথাস্থানে না থাকে এবং কুঁচকি বা কিডনির নিচে আটকে যায়, তাহলে তাকে ক্রিপঅর্কিডিজম বলে। এটি জন্মের সময় অনেক শিশুর মধ্যেই দেখা যায়। এই অবস্থায় অণ্ডকোষ সঠিক স্থানে না থাকার কারণে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে এবং বড় হলে প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

২. টেস্টিকুলার টর্শন: অণ্ডকোষ পেঁচিয়ে গেলে কী হয়?

অণ্ডকোষ যদি হঠাৎ করে পেঁচিয়ে যায়, তখন তাকে টেস্টিকুলার টর্শন বলে। এই অবস্থায় অণ্ডকোষে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যার ফলে অণ্ডকোষে মারাত্মক ব্যথা হয় এবং দ্রুত চিকিৎসা না করলে অণ্ডকোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

৩. অণ্ডকোষে আঘাত লাগলে: কী হতে পারে?

অণ্ডকোষে কোনোভাবে আঘাত লাগলে বা শক্তভাবে চাপ পড়লে অণ্ডকোষ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের আঘাত অণ্ডথলিতে রক্তপাতের কারণ হতে পারে এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ্যাত্বসহ নানা জটিলতার জন্ম দিতে পারে। তাই এ ধরনের আঘাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা উচিত।

অণ্ডকোষের বৃদ্ধি ব্যাহত হলে: প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি

৪. অণ্ডকোষের বৃদ্ধি ব্যাহত হলে: প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি

অণ্ডকোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হলে বা সঠিকভাবে না বাড়লে শুক্রাণুর গুণগত মান কমে যেতে পারে। এতে প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি থাকে এবং বন্ধ্যাত্বের কারণও হতে পারে। সঠিক পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অণ্ডকোষের সঠিক বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হতে পারে।

অন্ডকোষের টিউমারের লক্ষণ

টেস্টিকুলার ক্যান্সার বা অণ্ডকোষের ক্যান্সার সাধারণত অণ্ডকোষে ছোট, শক্ত বা ব্যথাহীন একটা গাঁট হিসেবে দেখা যায়। এই গাঁটটি মাঝে মাঝে অণ্ডথলি ফুলে ওঠা, অণ্ডকোষে হালকা ব্যথা বা অস্বস্তি এবং তলপেটে মৃদু ব্যথার কারণ হতে পারে।

যেহেতু এই লক্ষণগুলো অনেক সময় অন্যান্য কারণে দেখা দিতে পারে, তাই এগুলো দেখা গেলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসা যত দ্রুত শুরু হবে, সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি।

আরও কিছু তথ্য

  • বয়স: সাধারণত ১৫-৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়, তবে যে কোনো বয়সে হতে পারে।
  • কারণ: টেস্টিকুলার ক্যান্সারের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই, তবে কিছু ঝুঁকি যেমন: পরিবারের কারো এই রোগে আক্রান্ত হওয়া বা জন্মগত কিছু সমস্যা থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
  • চিকিৎসা: দ্রুত সনাক্ত হলে টেস্টিকুলার ক্যান্সার প্রায়শই সম্পূর্ণরূপে নিরাময়যোগ্য।
  • নিজেই পরীক্ষা করুন: মাসে একবার অণ্ডকোষ নিজেরা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন বা গাঁট অনুভব করলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

অন্ডকোষ বড় হলে কি সমস্যা?

অন্ডকোষ বড় হলে কি সমস্যা

অণ্ডকোষ আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং এর কোনো পরিবর্তন বা সমস্যা অনেক সময় শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তির কারণ হতে পারে। অণ্ডকোষ যদি অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যায়, এতে ব্যথাসহ আরও কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যা কয়েকটি কারণে হতে পারে। এখানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও তাদের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. এপিডিডাইমাইটিস

এপিডিডাইমাইটিস হলো অণ্ডকোষে প্রদাহ বা ফোলা ভাব যা সাধারণত সংক্রমণ বা কোনো আঘাতের ফলে হয়ে থাকে। এর ফলে অণ্ডকোষে ব্যথা বাড়তে পারে এবং এটি চলাফেরায় বেশ অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। এ ধরনের সংক্রমণ থেকে অণ্ডকোষ ফুলে যায় এবং প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া অনুভূত হতে পারে। ছোট শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা না করালে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

২. হাইড্রোসিল

হাইড্রোসিল তখন হয় যখন অণ্ডকোষের বাইরের দিকে পানি জমে অণ্ডকোষ বড় হয়ে যায়। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিরীহ মনে হলেও এটি প্রদাহ, সংক্রমণ, বা আঘাতের ফলে হতে পারে। অণ্ডকোষে পানি জমে এর আকার বেশ বড় দেখাতে পারে, এবং অনেক সময় ভারী বা অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে। যদিও এটি সাধারণত খুব গুরুতর নয়, তবে বড় আকারের হাইড্রোসিল দীর্ঘ সময়ের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এতে অস্ত্রোপচারও প্রয়োজন হতে পারে।

৩. ভেরিকোসিল

ভেরিকোসিল হলো অণ্ডকোষের উপরের দিকে থাকা শিরাগুলোর অস্বাভাবিক ফুলে যাওয়া ও প্যাঁচানো অবস্থা। সাধারণত এটি কৈশোর বা শৈশবে দেখা যায়, তবে বয়স্কদের মধ্যেও এটি দেখা দিতে পারে। এতে অণ্ডকোষ ভারী মনে হয় এবং মাঝে মাঝে ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় এই সমস্যার কারণে স্পার্মের উৎপাদনেও সমস্যা হতে পারে। তাই এটি চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ।

অণ্ডকোষে আঘাত বা চোট

৪. অণ্ডকোষে আঘাত বা চোট

অণ্ডকোষ যদি সরাসরি কোনো কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তাহলে সেখানে রক্তপাত হতে পারে। অনেক সময় আঘাতের ফলে অণ্ডথলিতে ফেটে যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে সন্তান ধারণে সমস্যার কারণ হতে পারে। এমনকি এতে তীব্র ব্যথা, ফোলা, ও অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। তাই অণ্ডকোষে গুরুতর আঘাত পেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৫. টিউমার বা ক্যান্সার

যদিও এটি খুব সাধারণ নয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ বড় হয়ে যাওয়া টিউমার বা ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। অণ্ডকোষে যদি ব্যথাবিহীন ফোলাভাব দেখা যায় এবং সেই সাথে শরীরে ক্লান্তি বা ওজন কমে যাওয়ার লক্ষণ থাকে, তাহলে এটি ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে। তাই এ ধরনের লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি।

হঠাৎ অন্ডকোষে ব্যাথার কারন

অণ্ডকোষে হঠাৎ ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে। সাধারণত, অণ্ডকোষে আঘাত লাগলে তাত্ক্ষণিক ব্যথা অনুভূত হয়। এছাড়া, বয়ঃসন্ধির পর যদি মাম্পস হয়, তাহলে অণ্ডকোষ ফুলে যায় এবং ব্যথা হতে পারে। এপিডিডাইমিসে জীবাণুর সংক্রমণ হলে (যাকে এপিডিডাইমাইটিস বলে), তখনও অণ্ডকোষে ব্যথা হতে পারে, এমনকি প্রস্রাব বা বীর্যে রক্ত আসা এবং প্রস্রাবে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনিতে পাথর থাকলেও সেই ব্যথা অণ্ডকোষে অনুভব হতে পারে। আবার, হার্নিয়া হলে পেটের অংশ অণ্ডকোষের ওপর চাপ দিতে পারে, যা ব্যথার কারণ হতে পারে।

অণ্ডকোষে ব্যথা হঠাৎ শুরু হতে পারে বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর সমস্যার লক্ষণও হতে পারে, যেমন: টেস্টিকুলার টর্শন বা ফোর্নিয়ার গ্যাংগ্রিন। তাই অণ্ডকোষে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

অন্ডকোষে ব্যথা দূর করার উপায়

অন্ডকোষে ব্যথা দূর করার উপায়

অণ্ডকোষে ব্যথা দূর করতে কিছু কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি আছে, তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যথা যদি দুই দিনের মধ্যে না কমে, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অণ্ডকোষের সংক্রমণ বা ব্যথা অনেক কারণেই হতে পারে, যেমন: এপিডিডাইমাইটিস, প্রোস্টাটাইটিস, অরকাইটিস, ভ্যারিকোসিল, হাইড্রোসিল, স্পার্মাটোসিল, টেস্টিকুলার টর্শন ইত্যাদি। তাই এসব সমস্যা এড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। নিচে কিছু প্রাকৃতিক উপায় উল্লেখ করা হলো, যা ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে।

১. ক্র্যানবেরি জুস

যদি অণ্ডকোষের ব্যথার মূল কারণ ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) হয়, তবে ক্র্যানবেরি জুস দারুণ কার্যকর হতে পারে। প্রতিদিন ১ গ্লাস করে ক্র্যানবেরি জুস খেলে চার দিনের মধ্যে উপশম পাওয়া যায়। ক্র্যানবেরিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহনাশক গুণ, যা ব্যাকটেরিয়া এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে।

২. হলুদ ও ঘোল

হলুদে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিসেপ্টিক এবং প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে। এক গ্লাস ঘোলের মধ্যে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্রতিদিন তিনবার খেলে ব্যথা কমতে থাকে। এটি অণ্ডকোষের প্রদাহ কমাতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। যদি ব্যথা লম্বা সময় ধরে থাকে, তবে এই পদ্ধতি ধীরে ধীরে আরাম দিতে পারে।

৩. পান পাতা ও মধু

পান পাতা প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা কমাতে সহায়ক। এক টুকরো পান পাতা নিন এবং এতে মধু মাখিয়ে নিন। তারপর পান পাতাটি অণ্ডকোষের ব্যথাযুক্ত স্থানে লাগিয়ে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ এবং পান পাতার শীতল প্রভাব একসঙ্গে কাজ করে, যা প্রদাহ ও সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৪. অলিভ অয়েল ও মাছের তেল

সংক্রমণ কমাতে এবং প্রদাহ দূর করতে অলিভ অয়েল ও মাছের তেল ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। ৯ ফোটা অলিভ অয়েল, ১ ফোটা নাইজেলা তেল এবং ৭ ফোটা মাছের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে অণ্ডকোষে প্রতিরাতে লাগান। এই মিশ্রণটি ৪-৭ দিন ব্যবহার করলে অণ্ডকোষের সংক্রমণ ধীরে ধীরে সেরে উঠতে পারে। এতে উপস্থিত ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর।

রসুন ও তিলের তেল

৫. রসুন ও তিলের তেল

রসুন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান হিসেবে পরিচিত। আধা চা চামচ রসুনের রস, এক টেবিল চামচ তিলের তেল, এবং কয়েকটি নিম পাতা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। ব্যথার স্থানে এই পেস্টটি হালকা হাতে ঘষে লাগান এবং দিনে একবার ব্যবহার করুন। এটি সংক্রমণ এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৬. কর্পূর, মধু, ডিমের সাদা অংশ ও গ্লিসারিন

এই উপাদানগুলির মিশ্রণ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ, মধু, কর্পূর এবং গ্লিসারিন সমপরিমাণে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন এবং সেটি অণ্ডকোষে লেপে দিন। কর্পূরের শীতল প্রভাব প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি দিনে একবার লাগানো যেতে পারে।

৭. কলার ফুলের পানীয়

প্রাকৃতিকভাবে সংক্রমণ সারাতে কলার ফুলও উপকারী হতে পারে। একটি কলার ফুল শুকিয়ে গুড়ো করে একটি পাউডার তৈরি করুন। তারপর এক লিটার পানি নিয়ে পাউডার থেকে ১ টেবিল চামচ পানিতে মেশান এবং একদিন ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে পানিটুকু পান করুন এবং সেদিন অন্যান্য খাবার এড়িয়ে চলুন। এর পরদিন দুধ এবং হালকা খাবার খান। এই পদ্ধতি অণ্ডকোষের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।

পুরুষের স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ইয়েস মেন

ইয়েস মেন (Yes Men) পুরুষের স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতি যত্নশীল ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। আমাদের ফিজিওথেরাপিস্টরা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে উন্নতমানের পেলভিক স্টিমুলেশন, শক ওয়েভ থেরাপি, আকুপাংচার, ও PEMF থেরাপি দিয়ে সেবা প্রদান করে থাকেন। আপনার প্রয়োজনীয় থেরাপি পেতে আজই যোগাযোগ করুন। বনানী এবং উত্তরা শাখায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে কল করুন: ০১৭৫৩৬৩১৮৪৬ (01753631846)।

 

বিস্তারিত জানুন: পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম, ব্যবহারের নিয়ম এবং এর উপকারিতা

বিস্তারিত জানুন: বাম অন্ডকোষ ব্যাথার কারন কি?, ঝুলে যায় কেন ও প্রতিকার জানুন

বিস্তারিত জানুন: টাইফয়েড জ্বর হলে খাওয়া উচিত না?

 

তথ্য সূত্র

Healthline –  What Causes Testicle Pain and How to Treat It

Medicine Net – Testicular Pain and Disorders

সাধারণ জিজ্ঞাসা

ভ্যারিকোসেলেক্টমি হলো ভ্যারিকোসেলের স্থায়ী ও সর্বোত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি একটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ফুলে ওঠা শিরাগুলি অপসারণ করা হয়, যা শোথ কমাতে সহায়ক। ভ্যারিকোসেলেক্টমি দুটি উপায়ে করা যায়—খোলা পদ্ধতিতে বা ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতিতে। উন্নত ল্যাপারোস্কোপিক ভ্যারিকোসেলেক্টমি বর্তমানের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।

টেস্টিকুলার ভলিউমে উল্লেখযোগ্য কোনো বৃদ্ধি না হওয়ায়, এটা স্পষ্ট যে ভ্যারিকোসিলের বিরূপ প্রভাব থেকে অণ্ডকোষের পূর্ণ পুনরুদ্ধারের জন্য খেলাধুলা থেকে দীর্ঘ সময়ের বিরতি প্রয়োজন।

ভেরিকোসেলেক্টমি হলো একটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি, যা ভ্যারিকোসেল নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এটি টেস্টিকুলারের ব্যথা কমাতে এবং পুরুষের উর্বরতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তবে, এর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে টেস্টিকুলার ধমনীতে ফোলাভাব, ক্ষত এবং আঘাতের সম্ভাবনা। অধিকাংশ মানুষ প্রায় ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই পদ্ধতি থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।

এটি অস্ত্রোপচার ছাড়াই অণ্ডকোষের ব্যথার অন্যান্য কারণগুলো শনাক্ত করতে সহায়ক হতে পারে, যেখানে রক্ষণশীল পদ্ধতিগুলি যেমন বিশ্রাম, বরফ প্রয়োগ, স্ক্রোটাল সাপোর্ট, এবং আইবুপ্রোফেনের মতো প্রদাহনাশক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। তবে, টেস্টিস টর্শন নিশ্চিত হলে দ্রুত অস্ত্রোপচার অপরিহার্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top