সেক্সচুয়াল সমস্যা বা যৌন সমস্যা নারী-পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। নারীরা বেশিরভাগ সময় দেখা যায় লজ্জা এবং সংকোচ বোধ করার কারণে পরিবারের কাছে নিজের গোপন সমস্যার কথা বলতে পারেন না। পরবর্তীতে এই সমস্যা অনেক জটিল আকার ধারণ করে এবং তখনই সেটি প্রকাশ পায়। কিন্তু পুরুষেরাও এখন অনেক যৌন সমস্যার সম্মুখীন হয় যেটা তারা লজ্জা ও সংকোচ বোধ করার কারণে প্রকাশ করতে পারেন না।
আমরা এখন পুরুষরা কি ধরনের যৌন সমস্যায় ভুগে থাকেন সে সম্পর্কে জানবো। সাধারণত ছেলেরা যেসব সমস্যায় ভুগে থাকেন তার মধ্যে অন্যতম হলো- অন্ডকোষের সমস্যা, ইরেকটাইল ডিসফাংশন, প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন, পেরোনিজ ডিজিজ, পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোনাল সমস্যা, ফিস্টুলা, স্তন বৃদ্ধি ইত্যাদি।
সাধারণত আমরা দেখি যেসব পুরুষের ক্রনিক ডিজিজ যেমন: ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ফ্যাটি লিভার, পেটের সমস্যা, আইবিএসের সমস্যা এসব সমস্যা থাকে তাদের সেক্সুয়াল ডিসফাংশন বা যৌন সমস্যা বেশি দেখা দেয়। শুধুমাত্র সঠিক লাইফস্টাইল মেনে না চলার কারনে আজকাল অনেক তরুন জেনারেশন এর মধ্যেও যৌন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
অন্ডকোষের সমস্যা
অন্ডকোষ বা টেস্টিস এর সমস্যা বলতে আমরা বুঝি অনেকের অন্ডকোষ ছোট বা বড় হয়ে যাওয়া, আবার অন্ডকোষে ব্যাথা, অন্ডকোষে পানি জমা, অন্ডকোষ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। এসব সমস্যা ছাড়াও আরো কিছু সমস্যা হয় যেমন অন্ডকোষের অনুভূতি চলে যাওয়া। পুরুষের অন্ডকোষে হাত দিলে এক ধরনের অনুভূতি হয় সেই অনুভূতি বোধ না করা। এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখবেন, যদি এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ও প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশন
পুরুষের যৌন সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে ইরেক্টাল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা। এই সমস্যাটি খুবই কমন একটি সমস্যা। অর্থাৎ পুরুষ যখন তার সঙ্গিনীর সাথে মিলিত হয় মিলনের সময় তার লিঙ্গ পর্যাপ্ত শক্ত হয় না বা শক্ত হলেও সাথে সাথে নিস্তেজ হয়ে যায় এই সমস্যাকে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলে। এই সমস্যা যদি মাসে একবার হয় তাহলে সেটা নরমাল ধরা যায় কিন্তু যদি বারবার এই সমস্যা হয় তাহলে এটিকে আমরা একটি রোগ হিসেবে ধরি। বিভিন্ন কারণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
আরেকটি সমস্যা হচ্ছে পুরুষ তার সঙ্গিনীর সাথে মিলিত হওয়ার সময় সঙ্গম শুরু হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায় এই সমস্যাকে বলা হয় প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন। পুরুষের মধ্যে একটি সমস্যা দেখা যায় যেটি হল মাস্টারবেশন। এই মাস্টারবেশন করার কারণে প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যাওয়ার যে সমস্যা এটি হতে পারে। এটি সম্পূর্ণ সাইকোলজিক্যাল একটি সমস্যা। যখন একজন পুরুষ মাস্টারবেশন করে তখন তার মাথায় থাকে যে যত দ্রুত সম্ভব তাকে এটি করে শেষ করতে হবে। আর বারবার মাস্টারবেশন করার ফলে সে দ্রুত বীর্যপাতের যে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
পেরোনিজ ডিজিজ
পুরুষাঙ্গ বেঁকে যাওয়াকে পেরোনিজ বলে অর্থাৎ পুরুষাঙ্গে স্কার টিস্যু ফর্মেশন করে যদি শক্ত গিটের মতো হয়ে যায়, আর এই কারণে পুরুষাঙ্গ যদি বেঁকে যায় তাকে পেরোনিজ ডিজিজ বলে। সাধারণত অনেকের পুরুষাঙ্গ একটু বাঁকা থাকে কিন্তু যদি এই বেকে যাওয়ার পরিমাণ অনেক বেশি হয়, এতে করে ইন্টারকোর্সের সময় যদি তীব্র ব্যথা হয় তখন এই সমস্যাকে পেরোনিজ ডিজিজ বলে।
গাইনোকোমেশিয়া বা পুরুষের স্তন বৃদ্ধি
পুরুষদের মধ্যে অনেক সময় ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে হঠাৎ করে স্তন বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। এই সমস্যাকে গাইনোকোমেশিয়া বলা হয়। এটি এক পাশে বা উভয় পাশে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে (৯৫%) গাইনোকোমেশিয়ার সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না, তবে কিছু ক্ষেত্রে (৫%) আমরা কিছু ধারণা করতে পারি।
কিছু ওষুধের কারণে যেমন: গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, প্রেসারের ওষুধ, বা হরমোনাল ট্যাবলেট গাইনোকোমেশিয়া হতে পারে। এমনকি কিছু নেশাজাতীয় ওষুধও এই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক সময়, যারা জিমে গিয়ে বডি বিল্ডিং করেন, তারা কিছু প্রোটিন বা ওষুধ সেবন করেন যেগুলো থেকেও গাইনোকোমেশিয়া হতে পারে। ওষুধ ছাড়াও শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকলে এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। তাই, গাইনোকোমেশিয়ার সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সঙ্গিনীর কাছে যৌন সমস্যার বিষয়ে না বলা
আমরা এখনও পুরুষের যৌন সমস্যার বিষয়ে অজ্ঞ। অনেক স্ত্রী জানেই না যে তার স্বামীর এই ধরনের সেক্সচুয়াল ডিসঅর্ডার হতে পারে। আবার অনেক স্বামী তার এই সমস্যার কথাগুলো তার সঙ্গিনীর কাছে প্রকাশ করেন না। পুরুষরা ভাবে এইসব সেক্সচুয়াল বিষয় তাদের শক্তির উৎস। সেক্সুয়ালি কোন পুরুষ শক্তিশালী না হলে তখন তার ইগোতে আঘাত লাগে। তখন সে ভাবে এই সমস্যাগুলো তার স্ত্রী জানলে তাকে এইসব বিষয় নিয়ে খোটা দিবেন। লজ্জা কিংবা অস্বস্তিবোধের কারণে এই সমস্যাগুলো তারা বেশিরভাগ সময় লুকিয়ে যান অথবা তারা ভাবেন যে তার সঙ্গী এই কথাগুলো জানলে হয়তো তাকে ছোট করবে। আর এভাবে সমস্যাগুলো খোলামেলা ভাবে আলোচনা করার অভাবে অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়, যৌন জীবনে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। অথচ বর্তমানে এই সব ধরনের সমস্যার সঠিক চিকিৎসা রয়েছে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারলে এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যৌন সমস্যার ক্ষেত্রে লজ্জা করলে সংকোচবোধ করলে এই সমস্যা পরবর্তীতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
পুরুষের যৌন সমস্যাগুলো কেন হয়ে থাকে
পুরুষদের যৌন সমস্যা বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে। অনেক সময় শারীরিক সমস্যার কারণে এই সমস্যা হয়, যেমন: উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, হাইপারটেনশন, ধূমপান, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, বা লিঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালন না হওয়া। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আবার, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও যৌন সমস্যার কারণ হতে পারে।
অনেক সময় হরমোনের সমস্যা থেকেও যৌন সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা, কিংবা নিজের যৌন সক্ষমতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসের অভাব থেকেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, শরীরচর্চা না করা, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া না করা, এবং অলস জীবনযাপনও যৌন সমস্যার কারণ হতে পারে।
পুরুষের যৌন সমস্যার সঠিক চিকিৎসা
পুরুষের যৌন সমস্যা নিয়ে অবহেলা করা একদম ঠিক নয়। সঠিক সময়ে সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিলে এগুলো ১০০% রিকভার সম্ভব।
যদি অন্ডকোষের সমস্যা, ফিস্টুলা, বা পুরুষদের স্তন বৃদ্ধি (গাইনোকোমেশিয়া) এর মতো কিছু দেখা দেয়, তাহলে একজন সার্জিকাল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ওজন ঠিক রাখা, এবং সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা দরকার। যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বা হার্টের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকে, সেগুলোও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
কোনো ওষুধ নেওয়ার আগে অবশ্যই এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। যদি শরীরে হরমোনের কোনো সমস্যা থাকে, তারও সঠিক চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। যথেষ্ট ঘুমানো, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ থেকে দূরে থাকা, এবং নিজেকে সুস্থ রাখার দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন সমস্যায় সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকরী চিকিৎসা
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় এমন কিছু অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এতে করে লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার সমাধান সম্ভব।
শকওয়েব থেরাপি : এই থেরাপি ৬ থেকে সর্বোচ্চ ১২ টা সেশন পর্যন্ত নিতে হয়। তবে ৩-৪ টা সেশন নিলে পেশেন্ট তার উন্নতি বুঝতে পারে। শক ওয়েব থেরাপির মাধ্যমে এক ধরনের ইলেকট্রিক শকের মাধ্যমে লিঙ্গের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করা হয়। এতে করে সহবাসের সময় লিঙ্গ শক্ত না হওয়ার যে সমস্যা হয় এটি সমাধান হয়। এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং শতভাগ কার্যকরী চিকিৎসা।
আকুপাংচার : এই থেরাপিতে বিভিন্ন আকু পয়েন্টে নিডেল দিয়ে আকুপাংচার করা হয়। এর ফলে লিঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এতে করে লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা সমাধান হয়।
আর টি এম এস : রিপিটেটিভ ট্রান্সক্যানিয়েল ম্যাগনেটিক স্টিমুলেটর। অনেক সময় পুরুষের মানসিক চাপ, উদ্বিগ্ন, দুশ্চিন্তা, হতাশা, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া এইসব সমস্যার কারণে রাতে ভালো ঘুম হয়না । আরটিএমএস থেরাপির মাধ্যমে ঘুমের সমস্যার সমাধান হয় রাতে ভালো ঘুম হয়। পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে শরীরে সেক্সুয়াল হরমোনের মাত্রা ঠিক থাকে ।
পেলভিক স্টিমুলেটর : এই চিকিৎসার মাধ্যমে পুরুষের পেলভিক ফ্লোর মাসেলগুলো শক্ত হয়। এতে করে ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যা, প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়া, প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা এ ধরনের সমস্যার সমাধান হয়।
উপরের চিকিৎসা গুলো একদম স্থায়ী ও নিরাপদ চিকিৎসা। ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসে এই চিকিৎসা শতভাগ কার্যকরী।
পুরুষের যৌন সমস্যা নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
আমাদের সমাজে পুরুষের যৌন সমস্যা নিয়ে অনেক ধরনের ভুল ধারণা। যেমন: অনেকের লিঙ্গ একদিকে বাকা থাকে, আবার অনেকের লিঙ্গ আগার দিকে চিকন থাকে, আবার অনেকের লিঙ্গ কিছুটা ছোট হয়ে থাকে। আবার অনেকের অন্ডকোষ উপরের দিকে উঠানো থাকে বা নিচের দিকে বেশি ঝোলানো থাকে। এই সবগুলো নিয়ে আমাদের অনেক ধরনের ভুল ধারণা থেকে থাকে। কিন্তু এই সব ধরনের ব্যাপার গুলো খুবই সাধারণ এমনকি এগুলো কোন সমস্যাই না। শারীরিক গঠন ভেদে একেকজনের একেক রকম হয়ে থাকে। এইসব ভুল ধারণা পোষণ না করে সঠিক সমস্যা বের করে সেটা সমাধান করা উচিত।
পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধানে খাবার
আমরা সবাই জানি পুরুষের লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা বা যৌন সমস্যার জন্য হরমোনাল সমস্যা একটি প্রধান কারণ। এর মানে হরমোনের আধিক্য বা হরমোনের ঘাটতির কারণে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। পুরুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি হরমোন হচ্ছে টেস্টোস্টেরন হরমোন ও প্রোলেক্টিন হরমোন। এই টেস্টোস্টেরন হরমোন যদি শরীরে ঘাটতি দেখা দেয় বা টেস্টোস্টেরন হরমোন যদি শরীরে তৈরি না হয় তাহলে পুরুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুরুষ দুর্বল হয়ে যেতে পারে, শরীরের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে, মাসেলের চালিকাশক্তি কমে যেতে পারে, যৌন চাহিদা বা যৌন আগ্রহ কমে যাওয়া। তাই আমাদের জানা উচিত কোন কোন খাবার খেলে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পায়। সেগুলো হলো – ডিম, মাশরুম, লাল মাংস, বিভিন্ন বীজ যেমন: কুমড়োর বীজ, তরমুজের বীজ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন: আখরোট, চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাজুবাদাম এইসব খাবার শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও তেলের মধ্যে যেমন: নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই আমাদের সাধ্য অনুযায়ী আমাদের খাদ্য তালিকায় এই ধরনের খাবারগুলো রাখতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা ও পর্যাপ্ত ঘুমানোর মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান সম্ভব।
যৌন সমস্যায় লজ্জা ও সংকোচবোধ না করে সঠিক চিকিৎসা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে খুব সহজেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। বড় কোন ধরনের সমস্যা হওয়ার আগেই সমস্যার কথা খুলে বলুন এবং সেটি সমাধান করুন।
আমাদের কাছ থেকে কেন সেবা নিবেন?
ইয়েস মেন কম খরচে পুরুষদের স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে ইউরোপ থেকে উন্নত পেলভিক স্টিমুলেশন, শক ওয়েভ থেরাপি, আকুপাংচার, আরটিএমএস (rTMS) এবং পি ই এম এফ (PEMF) ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদান করে। যৌন আকাঙ্ক্ষার সমস্যা, দ্রুত বীর্যপাত, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, পেরোনিস ডিজিজ, প্রোস্টেটাইটিস, প্রোস্টেট ক্যান্সার, প্রোস্টেট বড় হওয়া, প্রস্রাবের সমস্যা, মল ধরে রাখতে না পারা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের মতো সমস্যা সমাধান করা হয়। যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধান পেতে ভিসিট করুণ “ইয়েস মেনে”। উত্তরা শাখায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে কল করুন- +8801305301247. এবং বনানী শাখায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে কল করুন- +8801753631846.
লিখেছেন –
ডা: সৌরভ রহমান
বিপিটি (ডিইউ), এম ডি এম আর (এস এস টি)
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন মেন’স হেলথ (লিংগ উত্থানজনিত সমস্যা, দ্রুত বীর্যপাত, লিংগ বাকা হয়ে যাওয়া)