আপনেরা প্রশ্ন করেছিলেন, ইসবগুলের ভুসি খেলে কি বীর্য গাঢ় হয়? এটি কতদিন একটানা খাওয়া যায়? তাই, আজকের ব্লগেটি তাদের জন্য। চলুন আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক, ইসবগুলের ভুসি খেলে পুরুষদের বীর্য গাঢ় করতে সাহায্য করে কি না? এবং এটি একটানা কতদিন খাওয়া যায়?
ইসবগুলের ভুসি খেলে কি মোটা হওয়া যায়?
ইসবগুলের ভুসি খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা পেটকে অনেকক্ষণ ভরা রাখে এবং ক্ষুধা কমায়। এতে চর্বি ও ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় এটি ওজন বাড়তে দেয় না। ইসবগুলের ভুসি নিয়মিত খেলে হজম ভালো হয় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। এতে খাবারের পরিমাণ কমে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া, ইসবগুলের ভুসি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
ইসবগুলের ভুসি খেলে কি বীর্য গাঢ় হয়?
ইসবগুলের ভুসি খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়, তবে সঠিক নিয়মে খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই জানতে চান, ইসবগুলের ভুসি খেলে বীর্য গাঢ় হয় কিনা। আসলে, ইসবগুলের ভুসি বীর্য গাঢ় করতে সহায়ক হতে পারে যদি দুধ ও মধুর মতো কিছু উপাদানের সাথে মেশানো হয়। তবে, এর পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার যেমন রসুন, কালোজিরা খাওয়াও জরুরি।
রাতে শোয়ার আগে দুধের সাথে ইসবগুলের ভুসি ও মধু মিশিয়ে খেলে বীর্য গাঢ় হতে পারে এবং সহবাসের সময় দীর্ঘস্থায়ী হতে সাহায্য করতে পারে। ইসবগুলের ভুসি শুধু এই কাজে নয়, পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানেও কাজ করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজম ভালো রাখে, এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
ইসবগুলের ভুষি কতদিন খাওয়া যায়?
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন ইসবগুলের ভুসি খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে ডায়রিয়া ও অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ইসবগুলের ভুসি সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধানে ব্যবহৃত হয়, তবে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
যদি টানা ৩ দিন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পরেও কোষ্ঠকাঠিন্য ঠিক না হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সময় প্রচুর পানি পান করতে হবে, কারণ এটি শরীরের পানি শোষণ করে কাজ করে। পর্যাপ্ত পানি না খেলে উল্টো সমস্যা হতে পারে।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার আগে এবং পরে যথেষ্ট পানি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ধরনের খাদ্য সম্পূরক গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো। ইসবগুলের ভুসি নিয়মিত ব্যবহারের সময় শরীরে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা, তা মনিটর করা এবং প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ইসবগুলের ভুসি দাম
ইসবগুলের ভুসি একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা পেটের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর দাম বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং মানের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ইসবগুলের ভুসির দাম প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকে। কিছু জায়গায় এর দাম একটু বেশি হতে পারে, বিশেষ করে যদি গুণগত মান ভালো হয়। এটি স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ, তাই এর সঠিক দাম জানা আমাদের জন্য দরকারি।
পুরুষদের স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ইয়েস মেন
“ইয়েস মেন” এ পেলভিক স্টিমুলেশন, শক ওয়েভ থেরাপি, আকুপাংচার, আরটিএমএস (rTMS) ও পি ই এম এফ (PEMF) এর মাধ্যমে চিকিৎসা করানো হয়ে থাকে। তাই, আর দেরি না করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে আজই যোগাযোগ করুন। বনানী শাখায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে কল করুণ :+8801753631846. উত্তরা শাখায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে কল করুণ : +8801305301247.
আরও জানুন: হানি নাট খাওয়ার নিয়ম | হানি নাট এর উপকরণ কি?
আরও জানুন: কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম । সকালে কালোজিরা খাওয়ার বিশেষ নিয়ম । হাদিসে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম কি?
আরও জানুন: পেনিসে টুথপেস্ট লাগালে কি হয়? এটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
তথ্য সূত্র
Times Now News – How effective is psyllium husk or isabgol in relieving constipation and boosting sperm health; know the benefits
Bebody Wise – 12 Isabgol (Psyllium Husk) Benefits, Precautions, Dosage, Side Effects, More
Insta Care – 12 Incredible Benefits of Ispaghol Psyllium Husk
Myupchar – Psyllium Husk (Isabgol) Benefits, Uses and Side Effects
সাধারণ জিজ্ঞাসা
ইসবগুলের ভুসি খালি পেটে খেলে কি হয়?
ইসবগুলের ভুসি খালি পেটে খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
ইসবগুলের ভুসি কখন খাওয়া ভালো?
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার জন্য রাতের খাবারের পর বা সকালে খালি পেটে খাওয়া ভালো।
ইসবগুলের ভুসি তে কত ক্যালরি?
ইসবগুলের ভুসির প্রতি টেবিল চামচে প্রায় ৩০ ক্যালরি থাকে।
ইসবগুলের ভুসি কিভাবে খেতে হয়?
ইসবগুলের ভুসি পানির সাথে মিশিয়ে, দুধে মিশিয়ে বা দইয়ের সাথে খেতে হয়।
ইসবগুলের ভুষি কি দিয়ে তৈরি হয়?
ইসবগুলের ভুষি হলো ইসবগুল বীজ থেকে তৈরি হয়।
ইসবগুল কোথায় পাওয়া যায়?
অনলাইন স্বাস্থ্য পণ্যের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। এটি মূলত হজমজনিত সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং প্রাকৃতিক ফাইবার হিসেবে সুপরিচিত। ইসবগুল আমাদের পাহাড়ি অঞ্চলে ও উত্তর ভারতে চাষ করা হয়।