টেস্টোস্টেরন হরমোন সম্পর্কে আমরা অনেকেই কিছুটা জানি, কিন্তু এই হরমোনটি আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা জানলে আপনি হয়তো অবাক হবেন। এটি শুধু পুরুষেরই নয়, নারীদেরও শরীরের জন্য অপরিহার্য। তবে, জীবনযাত্রার অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপানসহ বিভিন্ন কারণে অনেকের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। তখন অনেকেই ইনজেকশন বা ওষুধের সাহায্য নিয়ে থাকেন, যা কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। অথচ স্বাভাবিক উপায়েও টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বাড়ানো সম্ভব। এজন্য কিছু বিশেষ ব্যায়াম এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করলে স্বাভাবিকভাবে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়। আজকের ব্লগে আমরা জানবো, টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় কেন? বৃদ্ধির ব্যায়াম গুলো কি?
টেস্টোস্টেরন হরমোন কি?
টেস্টোস্টেরন হচ্ছে মেল বা পুরুষের সেক্স হরমোন যা পুরুষের যৌনাঙ্গ, মাংসপেশী, হাড় গঠন, চর্বি বিতরণ ও লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে, এই হরমোন শুধু পুরুষ দেহেই উৎপাদন হয় না এটি নারী দেহেও উৎপাদন হয় তবে সেটা খুবই সামান্য মাত্রায় উৎপাদন হয়। পুরুষের দেহে যে কাজের জন্য এটি উৎপাদন হয় নারী দেহেও সেই একই কাজের জন্য এটি উৎপাদন হয় অর্থাৎ হাড়ের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য।
টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ কি?
একজন পুরুষের জীবনধারার উপরে ভিত্তি করে টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় – ফেটাল লাইফ বা গর্ভাবস্থায এবং পূর্ণবয়স্ক অবস্থা।
ফেটাল লাইফ বা গর্ভাবস্থায়
একজন বাচ্চা যখন গর্ভাবস্থায় থাকে তখন টেস্টোস্টেরনের হরমোন এর গুরুত্ব অপরিসীম। ভ্রুনের লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমরা জানি সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে এটি নির্ভর করে সেক্স ক্রোমোজোমের উপরে। কিন্তু ভ্রুনের লিঙ্গগত পার্থক্যের জন্য টেস্টোস্টেরন দায়ী। টেস্টোস্টেরন গর্ভাবস্থায় একজন পুরুষের যৌনাঙ্গগুলো গঠনের সহায়তা করে। একজন শিশু যখন গর্ভাবস্থায় থাকে তখন তার অন্ডকোষগুলো পেটের ভেতরে থাকে এবং শিশুর জন্মের কিছুদিন আগে এই অন্ডকোষগুলি পেট থেকে নিচের দিকে নেমে আসে আর এই টেস্টোস্টেরন হরমোন অন্ডকোষগুলি নিচের দিকে নামিয়ে আনে। যদি কোন কারণে অন্ডকোষগুলি পেট থেকে নিচে নামতে না পারে তখন তাকে বলা হয় ক্রিপটরকিডিজম (cryptorchidism) যা পুরুষের স্বাভাবিক যৌনজীবনকে ব্যাহত করে।
পূর্ণবয়স্ক অবস্থা
বয়ঃসন্ধিকাল পার হওয়ার পরে টেস্টোস্টেরন হরমোন পুরুষের যৌনাঙ্গ যেমন লিঙ্গ, অণ্ডকোষ এবং স্ক্রোটামের আকার বাড়ায়। বলা হয়, এই হরমোনের কারণে এসব অঙ্গ জন্মের পর থেকে প্রায় আটগুণ বড় হয়। এটি বীর্য এবং শুক্রাণু উৎপাদনেও সাহায্য করে।
বয়ঃসন্ধিকালে, অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৫ বছরের সময়ে, ছেলেমেয়েদের শরীর ও মানসিকতায় হঠাৎ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়, যাকে আমরা বয়ঃসন্ধি বলি। টেস্টোস্টেরন হরমোন ছেলেদের যৌন বৈশিষ্ট্যগুলো বিকাশে সহায়ক এবং যৌন মিলনের প্রতি আগ্রহ তৈরি করে। এই হরমোনের প্রভাবেই বয়ঃসন্ধিকালের পরে ছেলেদের শরীরে প্রায় ৫০ শতাংশ মাংসপেশির বৃদ্ধি ঘটে। টেস্টোস্টেরন মাংসপেশির বিকাশের পাশাপাশি হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং ক্যালসিয়াম জমাতে সাহায্য করে, যার ফলে হাড় মজবুত ও আকারে বড় হয়।
বয়ঃসন্ধিকালের পর ছেলেমেয়েরা হঠাৎ লম্বা হয়ে যায়, যা টেস্টোস্টেরনের কারণেই ঘটে। এই হরমোন ত্বকের পুরুত্ব বাড়িয়ে ত্বকের নিচে কিছুটা রুক্ষতা সৃষ্টি করে। তাছাড়া, এটি ত্বকের মেলানিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা ত্বকের রঙ ফর্সা বা কালো হওয়ার জন্য দায়ী।
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের গোঁফ, দাড়ি, বুক ও বগলের নিচে লোম গজায় এবং এর জন্য টেস্টোস্টেরন হরমোনই দায়ী। এছাড়া, এই হরমোনের কারণে অনেক সময় ছেলেদের মাথায় টাক পড়ার সমস্যা দেখা দেয়, যদিও এটি বংশগত কারণেও হতে পারে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন ঘটায় এবং লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় কেন?
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার কারন গুলোকে দুই ভাবে ভাগ করা যায় যেমন – রোগজনিত কারণ এবং অভ্যাসগত কারণ।
রোগজনিত কারণ
টেস্টোস্টেরন হরমোন মূলত অন্ডকোষ থেকে উৎপাদন হয়। তবে, কিছু জন্মগত সমস্যা থাকলে টেস্টোস্টেরনের অভাব দেখা দিতে পারে। যেমন, গর্ভাবস্থায় একটি ছেলে শিশুর অন্ডকোষ পেটের ভেতরে থাকে এবং জন্মের আগে এটি পেট থেকে নিচের দিকে নেমে আসে। কিন্তু যদি এটি পেট থেকে নিচে না নামে, তখন একে বলা হয় ক্রিপটরকিডিজম (cryptorchidism) বা আনডিসেন্ট টেস্টিস। এই সমস্যার ফলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব দেখা দিতে পারে।
আরও একটি জন্মগত সমস্যা হলো XXY ক্রোমোজোমের উপস্থিতি, যেখানে একজন পুরুষের দুটি XY ক্রোমোজোমের পরিবর্তে তিনটি (XXY) থাকে। এই অতিরিক্ত X ক্রোমোজোমের কারণে টেস্টোস্টেরন উৎপাদন কমে যায়। সারা বিশ্বে ৬৬০ জনের মধ্যে ১ জন এই সমস্যায় আক্রান্ত। এমন ব্যক্তিরা জন্মগতভাবে ছেলে হলেও বয়সের সাথে সাথে তাদের প্রজননতন্ত্র স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় না, স্তন বড় হতে থাকে এবং তাদের আচরণে মেয়েলি স্বভাব দেখা যায়।
অন্ডকোষে আঘাত, অপারেশন, বা অন্ডকোষ অপসারণের ফলেও টেস্টোস্টেরনের অভাব হতে পারে। হাইপোথ্যালামাস থেকে লিউট্রিনাইজিং হরমোন (LH) নিঃসৃত হয়, যা অন্ডকোষে টেস্টোস্টেরন উৎপাদনে সাহায্য করে। যদি এই হরমোনের উৎপাদনে কোনো সমস্যা হয়, তবে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যেতে পারে।
থাইরয়েডের সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিদের শরীরেও টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমতে পারে। ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি বা এক্স-রে রেডিয়েশনের কারণে অন্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হতে পারে।
সংক্রামক রোগ যেমন অর্কাইটিস, মামস, এইচআইভি, বা দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন টিবি, ডায়াবেটিস, এবং উচ্চ রক্তচাপের ফলেও শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যেতে পারে।
অভ্যাসগত কারণ
বয়সের সাথে সাথে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ, গর্ভাবস্থার সময় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা প্রায় ৪০০ ন্যানোগ্রাম/ডেসিলিটার থাকে। তবে, জন্মের পর থেকে বয়ঃসন্ধিকালের আগ পর্যন্ত এই মাত্রা কমে যায় এবং তা ১০০ ন্যানোগ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে নেমে আসে। এরপর, বয়ঃসন্ধিকাল থেকে প্রায় ৩৫ বছর পর্যন্ত টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, যা ৬৫০ ন্যানোগ্রাম/ডেসিলিটারেরও বেশি হতে পারে। তবে ৩৫ বছর পার হওয়ার পর থেকে এই মাত্রা আবার কমতে শুরু করে।
শরীরের অতিরিক্ত ওজন বা অস্বাভাবিকভাবে কম ওজন থাকলে শরীরে টেস্টোস্টেরনের অভাব দেখা দিতে পারে। মানসিক চাপের কারণে অনিদ্রার সমস্যা তৈরি হয়, যা পর্যাপ্ত ঘুমে বাধা দেয়। এই অনিদ্রার ফলে শরীরে স্টেরয়েড হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা টেস্টোস্টেরন উৎপাদন ব্যাহত করে।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলেও টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যেতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চার অভাবে টেস্টোস্টেরন উৎপাদনকারী কোষগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়তে পারে, যার ফলে শরীরে এই হরমোনের অভাব দেখা দেয়। ধূমপান এবং মদ্যপান অন্ডকোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা টেস্টোস্টেরন উৎপাদনের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ
টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যাচ্ছে এটির লক্ষন নির্ভর করে বয়সের উপর। বাচ্চা বয়সে যদি টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব দেখা দেয় তাহলে তার প্রজননতন্ত্রের অঙ্গগুলোর সঠিকভাবে বৃদ্ধি ঘটবে না। বয়সন্ধিকালে এর অভাব দেখা দিলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোম দাড়ি ঠিকমতো উঠবে না এবং মাংসপেশী ও হাড়ের বিকাশ না হওয়ার লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে। এখন জানবো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার কয়েকটি লক্ষণ –
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের অন্ডকোষ সাধারণত লম্বায় ৫ সেন্টিমিটার, প্রস্থে ৩ সেন্টিমিটার এবং ওজনে ১০-১৫ গ্রাম হয়ে থাকে। তবে যদি কারো অন্ডকোষের আকার ছোট হয়, তা হতে পারে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির লক্ষণ।
টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাবে পুরুষদের স্তনের আকার বৃদ্ধি পাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে, যাকে গাইনোকোমেশিয়া বলা হয়। এই হরমোনের ঘাটতির ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, কিছু মনে না রাখা, এবং অবসাদগ্রস্ততার মত লক্ষণ দেখা দেয়, যদিও খাওয়া-দাওয়া ঠিকঠাক থাকে।
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হলে পেটে চর্বি বেড়ে যায়, হাড় ও মাংসপেশির ঘনত্ব কমে যায়, এবং মাথার চুল পড়ে টাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও বীর্যের পরিমাণ কমে যায় এবং শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত হয়, যার ফলে বীর্য পাতলা হয়ে যায় এবং সন্তান জন্মদানে সমস্যা দেখা দেয়।
লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যাও (ইরেক্টাইল ডিসফাংশন) টেস্টোস্টেরনের অভাবের একটি সাধারণ লক্ষণ। যৌন ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও লিঙ্গ শক্ত হয় না বা ইরেকশন ঠিকভাবে হয় না, এমনকি ঘুমের মধ্যেও ইরেকশন না হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
টেস্টোস্টেরন যৌনজীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই হরমোনের অভাবে যৌন চাহিদা কমে যায়, যার ফলে যৌনমিলনে অনীহা, দ্রুত বীর্যপাত, এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
টেস্টোস্টেরন হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা কত?
টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা নারী ও পুরুষের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক এবং ফুড ও ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) তথ্যানুসারে, সাধারণভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক মাত্রা ৩০০ থেকে ৯০০ ন্যানোগ্রাম পার ডেসিলিটার পর্যন্ত থাকে। যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ৩০০ ন্যানোগ্রাম পার ডেসিলিটার এর কম হয়, তখন তা কম টেস্টোস্টেরন হিসেবে গণ্য করা হয়। অন্যদিকে, নারীদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অনেক কম, যা সাধারণত ১৫ থেকে ৯০ ন্যানোগ্রাম পার ডেসিলিটার এর মধ্যে থাকে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ৩৫-৪০ বছরের পর থেকে পুরুষদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা প্রতি বছর প্রায় ১% করে কমতে থাকে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ব্যায়াম
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করতে ব্যায়াম একটি অতি কার্যকরী পদ্ধতি। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বয়স বৃদ্ধির পরেও অনেক বেশি থাকে। টেস্টোস্টেরন শরীরে মাংসপেশি গঠনে সহায়ক, তাই এমন ব্যায়াম করা উচিত যা মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, ওয়েট লিফটিং, স্কোয়াট, ব্রেঞ্জ প্রেস, এবং দৌড়ানো প্রভৃতি ব্যায়াম বেশ উপকারী।
হাই ইনটেন্সিটি ইন্টারভাল ট্রেইনিং (HIIT): এই ধরনের ব্যায়ামও টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিতে সহায়ক। HIIT ব্যায়াম করতে হলে, সকালে ৬-৭ টার মধ্যে খোলা মাঠে ৩০-৬০ সেকেন্ড জোরে দৌড়াবেন এবং তারপর ১০-২০ সেকেন্ড বিশ্রাম নেবেন। এভাবে পুনরায় দৌড়াবেন। প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট এই ব্যায়াম করুন। এর সাথে অন্যান্য ব্যায়াম মিলিয়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন: শরীরে টেস্টোস্টেরন এবং অন্যান্য হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা জরুরি। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ মুক্ত থাকা প্রয়োজন। প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের সময় নিশ্চিত করা উচিত।
সুতরাং, সঠিক জীবনযাপন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, এবং নিয়মিত ব্যায়াম শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আমাদের কাছ থেকে কেন সেবা নিবেন?
ইয়েস মেন পুরুষদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার স্থায়ী ও কার্যকর সমাধান প্রদান করে থাকে। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে ইউরোপের আধুনিক থেরাপি যেমন: পেলভিক স্টিমুলেশন, শক ওয়েভ থেরাপি, আকুপাংচার, rTMS (রিপিটিটিভ ট্রান্সক্র্যানিয়াল ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন), এবং PEMF থেরাপি অন্তর্ভুক্ত। এই থেরাপিগুলোর মাধ্যমে যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, দ্রুত বীর্যপাত, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (লিঙ্গ শক্ত না হওয়া), পেরোনিস ডিজিজ (লিঙ্গ বেঁকে যাওয়া), প্রোস্টেট ক্যান্সার, প্রস্রাবের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS), এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দিয়ে থাকি। আপনি যদি এই ধরনের কোনো সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে আজই ‘ইয়েস মেন’ এর সাথে যোগাযোগ করুন। উত্তরা শাখার জন্য কল করুন: +8801305301247 এবং বনানী শাখার জন্য কল করুন: +8801753631846।
আরও জানুন: বিয়ের প্রথম রাতে সহবাস করার উপায় গুলো জানা আছে কি?
আরও জানুন: পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায় জানা আছে কি?
আরও জানুন: পেনিসের আদর্শ সাইজ কত | পেনিসের সাইজ কত হওয়া উচিত
তথ্য সূত্র
Cleveland Clinic — Low Testosterone (Male Hypogonadism)
Medline Plus — Could you have low testosterone?
Medical News Today — What are the symptoms of low testosterone, and how to increase it
Healthline — What’s Causing My Low Testosterone?
WebMD — Low Testosterone and Your Health
TRT MD — What Causes Men’s Testosterone To Be Low?
সাধারণ জিজ্ঞাসা
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়?
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোনের স্তর কমে গেলে প্রথমে যৌন আগ্রহ বা লিবিডোতে পরিবর্তন দেখা যায়, যা যৌন ইচ্ছার হ্রাসের কারণ হতে পারে। এছাড়া শারীরিক শক্তি এবং সহ্যশক্তি কমে যেতে পারে, যার ফলে দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভূত হয়। পেশীর ভর কমে যেতে পারে এবং মেদ বাড়তে পারে, বিশেষ করে পেটের আশেপাশে। মানসিকভাবে, মনোযোগের অভাব, হতাশা এবং মন খারাপের অনুভূতি দেখা দিতে পারে। হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার ফলে হাড় ভাঙার ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
টেস্টোস্টেরন বুস্টার কি নিরাপদ?
টেস্টোস্টেরন বুস্টার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে মিশ্র মতামত রয়েছে। কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ভিত্তিক বুস্টার সাধারণত নিরাপদ বলে মনে করা হলেও, সেগুলোর কার্যকারিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে পর্যাপ্ত গবেষণা নেই। তবে, সাপ্লিমেন্টের অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে, তাই ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
টেস্টোস্টেরন ইনজেকশন দিয়ে কি আশা করা যায়?
টেস্টোস্টেরন ইনজেকশন দিয়ে সাধারণত শরীরে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হয়। এটি গ্রহণ করলে শক্তি বৃদ্ধি, পেশী গঠন, যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি আশা করা যেতে পারে। তবে, সঠিক মাত্রা এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ঝুঁকি রয়েছে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে এই ইনজেকশন নেওয়া উচিত।
লিখেছেন: ডা. সৌরভ রহমান
বিপিটি (ডিইউ), এম ডি এম আর (এস এস টি)
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন পুরুষদের স্বাস্থ্য (যেমন: লিঙ্গের উত্থান সমস্যা, দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গ বাঁকা হয়ে যাওয়া)