Yes Men

পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধানে কি কি থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়?

পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধানে শকওয়েভ থেরাপি, আকুপাংচার, ওজোন থেরাপি, আরটিএমএস এবং পেলভিক ফ্লোর স্টিমুলেশনের ভূমিকা কি?

পুরুষের যৌন সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে ইরেক্টাল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা। এই সমস্যাটি খুবই কমন একটি সমস্যা। অর্থাৎ পুরুষ যখন তার সঙ্গিনীর সাথে মিলিত হয় মিলনের সময় তার লিঙ্গ পর্যাপ্ত শক্ত হয় না বা শক্ত হলেও সাথে সাথে নিস্তেজ হয়ে যায় এই সমস্যাকে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলে। এই সমস্যা যদি মাসে একবার হয় তাহলে সেটা নরমাল ধরা যায় কিন্তু যদি বারবার এই সমস্যা হয় তাহলে এটিকে আমরা একটি রোগ হিসেবে ধরি। বিভিন্ন কারণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। 

শকওয়েভ থেরাপি কি?

শকওয়েভ থেরাপি এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে শক্তিশালী শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। এটি বিশেষভাবে কিডনিতে পাথর ভাঙার জন্য, ইরেকটাইল ডিসফাংশন এবং শরীরের হাড় ও পেশির সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে শরীরের বাইরের দিক থেকে শব্দ তরঙ্গ পাঠিয়ে নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যথা কমানোর বা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়।

শকওয়েভ থেরাপি দুই ধরনের হতে পারে –

  • এক্সট্রাকর্পোরিয়াল শকওয়েভ থেরাপি (ESWT): এটি শরীরের বাইরে থেকে শব্দ তরঙ্গ পাঠিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যার চিকিৎসা করে। ইরেকটাইল ডিসফাংশন, কিডনিতে পাথর ভাঙার পাশাপাশি এটি পেশী বা হাড়ের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
  • ইলেক্ট্রোকনভালসিভ থেরাপি (ECT): এটি মস্তিষ্কের চিকিৎসায় বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এটি শকওয়েভ থেরাপি নয়।

পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধানে কি কি থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়? (শকওয়েভ থেরাপি)

ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের জন্য শক ওয়েভ থেরাপি

ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (ED) হলো একটি সাধারণ যৌন সমস্যা, যেখানে একজন পুরুষ যৌন উত্তেজনা সত্ত্বেও যৌন মিলনের সময় লিঙ্গে পর্যাপ্ত শক্তি পেতে বা ধরে রাখতে পারেন না। এর কারণ শারীরিক বা মানসিক হতে পারে।

ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের (ED) একটি প্রধান কারণ হলো লিঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ না হওয়া। যখন লিঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছায় না, তখন ইরেকশন অর্জন বা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এই ধরনের ইডিকে ‘ভাসকুলার ইরেক্টাইল ডিসফাংশন’ বলা হয়। 

শক ওয়েভ থেরাপি কিভাবে কাজ করে?

চিকিৎসার সময়, লিঙ্গে হালকা শক্তির শকওয়েভ প্রয়োগ করা হয়। এটি লিঙ্গে নতুন রক্তনালী তৈরি করতে সাহায্য করে এবং রক্ত প্রবাহ ভালো করে, যা ইরেকশন পাওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়। এই চিকিৎসা সাধারণত ব্যথাহীন হয় এবং একজন বিশেষজ্ঞ এটি ৬ থেকে ১২টি সেশনে পরিচালনা করেন। অনেক রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরেকশন পাওয়ার ক্ষেত্রে উন্নতি অনুভব করেন।

শকওয়েভ থেরাপি খরচ কত? (shockwave therapy for ed cost in bangladesh)

শকওয়েভ থেরাপি হলো একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে শরীরে হালকা শকওয়েভ পাঠানো হয়, যা ব্যথা কমাতে এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (ED) এর মতো সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে। বাংলাদেশে, ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসায় এই থেরাপি ব্যবহার করা হয়, যা নতুন রক্তনালী তৈরি করে এবং লিঙ্গে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, ফলে ইরেকশন পাওয়া সহজ হয়।

এই থেরাপির খরচ প্রতি সেশনে সাধারণত ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসার প্রয়োজন অনুযায়ী ৬ থেকে ১২টি সেশন লাগতে পারে, তবে রোগী ভেদে এটি কম বা বেশি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে রোগীরা প্রথম কয়েক সেশনেই উন্নতি অনুভব করতে পারেন, কিন্তু সম্পূর্ণ ফলাফলের জন্য সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ।

শকওয়েভ থেরাপি সাধারণত ব্যথাহীন এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত, তাই এটি অনেকের জন্য নিরাপদ একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি।

পেলভিক ফ্লোর কি?

পেলভিক ফ্লোর হলো আমাদের শরীরের নিচের অংশে থাকা এক ধরনের পেশী ও টিস্যুর একটি স্তর। এটি পেশী, লিগামেন্ট এবং ফ্যাসিয়া দিয়ে তৈরি হয়, যা আমাদের প্রস্রাব, পায়খানা এবং যৌন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, পেলভিক ফ্লোর আমাদের শরীরের ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো, যেমন: মূত্রথলি, জরায়ু এবং পায়ুপথকে সঠিক জায়গায় ধরে রাখে।

এই পেশীগুলো শক্তিশালী হলে আমরা প্রস্রাব এবং পায়খানার নিয়ন্ত্রণে ভালো থাকে এবং যৌন কার্যক্রমেও সহায়ক হয়। পেলভিক ফ্লোর দুর্বল হলে প্রস্রাব ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে বা পেলভিক অঙ্গগুলির স্থান পরিবর্তন হতে পারে। তাই পেলভিক ফ্লোরের স্বাস্থ্য ভালো রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

পেলভিক ফ্লোর ডিসঅর্ডার

পেলভিক ফ্লোর ডিসফাংশন হল এমন একটি সমস্যা যেখানে পেলভিক অঞ্চলের পেশিগুলি ঠিকমতো কাজ করে না। এই পেশিগুলি মূত্রথলি, জরায়ু, এবং মলদ্বারকে সঠিক জায়গায় রাখতে সাহায্য করে। যখন এই পেশিগুলি দুর্বল হয়ে যায় বা সঠিকভাবে সংকোচন করতে পারে না, তখন এটি বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।

এটি বুঝতে বা রোগ নির্ণয় করতে সাধারণত কিছু পরীক্ষা করা হয়। প্রথমত, ডাক্তাররা রোগীর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ইতিহাস জিজ্ঞাসা করবেন। বিশেষ করে তারা জানতে চাইবেন –

  • আপনি কয়বার গর্ভবতী হয়েছেন?
  • আপনার প্রসব প্রক্রিয়া কেমন ছিল? (স্বাভাবিক নাকি সিজারিয়ান?)
  • প্রসবের সময় কোনো জটিলতা ছিল কি?

এরপর ডাক্তাররা উপসর্গ সম্পর্কে জানতে চাইবেন, যেমন –

  • পেলভিক বা তলপেটে কোনো ব্যথা আছে কিনা?
  • প্রস্রাব বা পায়খানা করতে সমস্যা হয় কিনা?
  • যৌন মিলনের সময় ব্যথা হয় কিনা?

শারীরিক পরীক্ষার সময় ডাক্তাররা আপনার পেলভিক অঞ্চল পরীক্ষা করবেন। এর জন্য স্পিকুলাম নামের একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, যা জরায়ুর ভিতরের অংশ দেখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ডাক্তার তাদের আঙুল দিয়ে আপনার পেলভিক পেশির শক্তি এবং ব্যথা পরীক্ষা করতে পারেন।

এই সমস্যা বুঝতে কখনও কখনও ইমেজিং বা স্ক্যান করতে হয়, যাতে ভিতরের সমস্যাগুলি ভালোভাবে দেখা যায়।

উপসর্গগুলো যদি ধরা পড়ে, তাহলে ডাক্তার আপনাকে পেলভিক ফ্লোর শক্তিশালী করার জন্য কিছু বিশেষ ব্যায়াম বা চিকিৎসা পরামর্শ দেবেন।

পেলভিক ফ্লোর মাসল ব্যায়াম 

পেলভিক ফ্লোর মাসল ব্যায়াম, যাকে কেগেল ব্যায়ামও বলা হয়, একটি সহজ ব্যায়াম যেখানে আমরা আমাদের পেলভিক ফ্লোরের পেশীগুলিকে বারবার সংকুচিত (টাইট) ও শিথিল (রিলাক্স) করি। এই পেশীগুলি আমাদের প্রস্রাব ও পায়খানা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কেগেল ব্যায়াম যে কেউ করতে পারে, এবং এটি দিনে কয়েকবার, কয়েক মিনিটের জন্য করা যায়। তবে, এর ভালো ফল পেতে সাধারণত এক থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে। এই ব্যায়াম নিয়মিত করলে মেয়েদের এবং ছেলেদের উভয়েরই স্বাস্থ্য ভালো থাকে, বিশেষ করে জন্মের পর মেয়েদের বা যারা প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যায় পড়েন।

পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধানে কি কি থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়?(পেলভিক ফ্লোর স্টিমুলেশন থেরাপি)

পেলভিক ফ্লোর স্টিমুলেশনের খরচ কত? (pelvic floor stimulation therapy cost)

পেলভিক ফ্লোর স্টিমুলেশন থেরাপির খরচ সাধারণত ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে হয়। খরচ নির্ভর করে কোথায় চিকিৎসা করা হচ্ছে, কী ধরনের চিকিৎসা লাগছে, এবং কতদিন চিকিৎসা করতে হবে তার উপর।

এই চিকিৎসার জন্য অনেক সময় ডাক্তাররা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ বা অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করেন, যা পেলভিক পেশিগুলিকে সক্রিয় বা সংকুচিত করতে সাহায্য করে। এতে পেশিগুলি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়, এবং উপসর্গগুলো কমতে থাকে।

আকুপাংচার মানে কি?

সূচিবেধী চিকিৎসা বা আকুপাংচার (ইংরেজিতে Acupuncture) হল একটি পুরনো চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি। এতে সূচের মতো পাতলা সুচ ব্যবহার করে শরীরের নির্দিষ্ট অংশে ফোটানো হয়। এর মাধ্যমে শরীরের ব্যথা কমানো এবং বিভিন্ন রোগ নিরাময় করা হয়।

এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি প্রায় ২০০০ বছর ধরে প্রচলিত আছে। এটি শরীরের শক্তির (যাকে চীনারা “চি” বলে) সঠিক প্রবাহ ঠিক রাখে বলে মনে করা হয়, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। আকুপাংচার শুধু ব্যথা কমায় না, এটি মাথাব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, ঘুমের সমস্যা, যৌন সমস্যা, মানসিক চাপ ইত্যাদি রোগেও উপকার করে। 

আকুপাংচার কোন কোন চিকিৎসায় কাজ করে?

আকুপাংচার এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হয়। এখানে কিছু রোগ বা সমস্যা দেওয়া হলো, যেখানে আকুপাংচার কার্যকর ভূমিকা রাখে –

  • ঘুমের সমস্যা (অনিদ্রা): যারা ঘুমাতে পারেন না বা ভালো ঘুম হয় না, তাদের জন্য আকুপাংচার সহায়ক হতে পারে।
  • চিন্তা ও উদ্বেগ (স্ট্রেস) এবং বিষণ্নতা: অতিরিক্ত চিন্তা বা দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, এবং দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা দূর করতে আকুপাংচার কার্যকর হতে পারে।
  • মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন: যারা প্রায়ই মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য এটি আরামদায়ক হতে পারে।
  • ব্যথার চিকিৎসা: কোমরব্যথা, বাতের ব্যথা, এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় ব্যথা যেমন: ঘাড় বা কাঁধের ব্যথা (ফ্রোজেন শোল্ডার) এবং স্টিফ নেকের জন্য আকুপাংচার বেশ কার্যকর।
  • ডিস্কের সমস্যা: সার্ভাইকাল (ঘাড়ের) এবং লাম্বার (কোমরের) ডিস্ক প্রোল্যাপসের মতো সমস্যাগুলোর চিকিৎসায় আকুপাংচার ব্যবহৃত হয়।
  • যৌন সমস্যা: ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যায়ও আকুপাংচার কাজে লাগতে পারে।

আকুপাংচার শরীরের ব্যালেন্স ফিরিয়ে আনতে এবং বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যথা কমায় এবং শরীরকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে।

পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধানে কি কি থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়?(আকুপাংচার)

আকুপাংচার চিকিৎসার খরচ কত? (acupuncture treatment in bangladesh)

আকুপাংচার থেরাপি হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে শরীরের বিশেষ কিছু স্থানে সূঁচ ঢুকিয়ে ব্যথা ও অস্বস্তি কমানো হয়। এই চিকিৎসা অনেক সময় মাথাব্যথা, কোমরব্যথা, গাঁটে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, এমনকি মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। আকুপাংচার সাধারণত নিরাপদ, তবে এটি একজন প্রশিক্ষিত থেরাপিস্টের কাছে করানো উচিত। প্রতি সেশন করার খরচ ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।

ওজোন থেরাপি কি?

ওজোন থেরাপি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ওজোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এটি অটোহেমোথেরাপি নামক এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা যেতে পারে, যেখানে রোগীর শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হয়, ওজোনের সাথে মিশিয়ে আবার রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এই থেরাপি মূলত হাঁটুব্যথা (অস্টিওআর্থ্রাইটিস), স্লিপ ডিস্ক, দীর্ঘদিনের ক্ষত, এবং হেপাটাইটিস বি ও সি রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি কখনও কখনও প্রধান চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে, আবার কখনও অন্যান্য চিকিৎসার সহায়ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

ওজোন থেরাপি কোন কোন চিকিৎসায় কাজ করে?

ওজোন থেরাপি হলো এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে ওজোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এই থেরাপি অনেক ধরনের রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, ওজোন থেরাপি ত্বকের সমস্যায়, হাড়ের ব্যথায়, গাঁটের ব্যথায় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজে লাগে।

এছাড়াও, এই থেরাপি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অনেক ডাক্তার ওজোন থেরাপি ব্যবহার করেন কিছু বিশেষ ধরনের রোগ, যেমন: ডায়াবেটিস, দাঁতের সমস্যা এবং আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায়। সব ধরনের রোগের জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। তবে, ওজোন থেরাপি নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি।

পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধানে কি কি থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়? (ওজোন থেরাপি)

ওজোন থেরাপি চিকিৎসার খরচ কত? (Ozone Therapy Cost in Bangladesh)

ওজোন থেরাপি চিকিৎসার খরচ অনেক বিষয় নির্ভর করে। খরচ কত হবে তা নির্ভর করে যে ধরনের ওজোন থেরাপি করা হচ্ছে, কতবার করতে হবে, এবং কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে করানো হচ্ছে তার উপর। সাধারণত, এই চিকিৎসা একটু ব্যয়বহুল হতে পারে। কিছু জায়গায় এই চিকিৎসার খরচ কম হয়, আবার কিছু জায়গায় একটু বেশি হতে পারে।

এছাড়াও, একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যে পরামর্শ দেবেন, তার খরচও ভিন্ন হতে পারে। তাই, চিকিৎসা শুরুর আগে ভালোভাবে খরচ সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

আরটিএমএস কি?

আরটিএমএস (rTMS) হলো মস্তিষ্কের উদ্দীপনার একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এর পুরো নাম হলো “রিপিটেটিভ ট্রান্সক্রানিয়াল ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন”। এই পদ্ধতিতে মাথার বাইরে থেকে একটি যন্ত্রের মাধ্যমে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে চৌম্বক শক্তি প্রয়োগ করা হয়। চৌম্বক শক্তির মাধ্যমে মস্তিষ্কে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন তৈরি হয়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সক্রিয় করে তোলে।

এটি সম্পূর্ণ নন-ইনভেসিভ অর্থাৎ কোনো কাটাছেঁড়া বা অপারেশন লাগে না। আরটিএমএস সাধারণত ডিপ্রেশন (বিষণ্ণতা), মাইগ্রেন এবং অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

এটি ব্যথাহীন, এবং প্রায়ই কয়েকটি সেশন প্রয়োজন হয়। ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে এই থেরাপি নিরাপদভাবে করানো হয়।

আরটিএমএস এর সুবিধা কি? (rtms benefits)

১. পুরুষের হতাশা ও মানসিক চাপ কমাতে আরটিএমএস এর ব্যবহার: আরটিএমএস পদ্ধতিটি দীর্ঘমেয়াদী হতাশা এবং মানসিক চাপের চিকিৎসায় পুরুষদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী, যেখানে সাধারণ ওষুধ কাজ করে না।

২. স্মৃতিশক্তি উন্নত করে: কিছু গবেষণা বলছে, আরটিএমএস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। বিশেষ করে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

৩. ঘুমের মান উন্নত করে: আরটিএমএস এর মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা নিলে ঘুমের মানও উন্নত হতে পারে, যা মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।

৪. নন-ইনভেসিভ পদ্ধতি: আরটিএমএস একটি নন-ইনভেসিভ পদ্ধতি, অর্থাৎ শরীরে কোনও কাটাছেঁড়া বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। তাই এটি নিরাপদ এবং সহজলভ্য।

এই পদ্ধতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে নিতে হয়, এবং এটি শিশুদের জন্যও নিরাপদ হতে পারে, তবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

পুরুষের যৌন সমস্যা সমাধানে কি কি থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়?(rtms treatment)

আরটিএমএস কোন কোন চিকিৎসায় কাজ করে?

আরটিএমএস (rTMS) হলো এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যা মস্তিষ্কের কিছু নির্দিষ্ট অংশে নিয়মিত চৌম্বকীয় তরঙ্গ প্রেরণ করে কাজ করে। এটি মূলত মানসিক ও স্নায়বিক সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা, ও স্নায়বিক রোগের চিকিৎসায় আরটিএমএসের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।

আরটিএমএস যেসব সমস্যায় কাজ করে

  • বিষণ্ণতা (ডিপ্রেশন): যারা দীর্ঘ সময় ধরে বিষণ্ণতায় ভুগছেন, তাদের জন্য আরটিএমএস অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। মানসিক অবস্থা উন্নত করতে এবং মন ভালো রাখতে এই থেরাপি ব্যবহৃত হয়।
  • অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি): ওসিডি একটি মানসিক সমস্যা যেখানে একজন ব্যক্তি বারবার একই কাজ বা চিন্তা করতে বাধ্য বোধ করেন। আরটিএমএস এই সমস্যার চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে।
  • পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি): পিটিএসডি হলো এক ধরনের মানসিক অবস্থা যা গুরুতর মানসিক আঘাতের কারণে হয়। এই ধরনের রোগীদের জন্যও আরটিএমএস উপকারী।
  • সিজোফ্রেনিয়া: এটি হলো এক ধরনের মানসিক রোগ যেখানে ব্যক্তি বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। আরটিএমএস সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • স্নায়বিক ব্যথা: যারা দীর্ঘস্থায়ী স্নায়বিক ব্যথায় ভুগছেন, তাদের জন্য আরটিএমএস সাহায্য করতে পারে। এটি ব্যথা কমাতে কাজ করে।

আরটিএমএস একটি নিরাপদ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। যারা ওষুধে ভালো ফল পাচ্ছেন না বা যাদের মানসিক সমস্যার জন্য বিশেষ ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের জন্য এই থেরাপি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।

আরটিএমএস চিকিৎসার খরচ কত? (rtms treatment cost)

আরটিএমএস চিকিৎসার খরচ ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশে আরটিএমএস চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে প্রতিটি সেশনের জন্য। তবে, এটি নির্ভর করে আপনি কোন হাসপাতালে বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং আপনার অবস্থা কতটুকু গুরুতর। বেশিরভাগ সময় এই চিকিৎসাটি একাধিক সেশন প্রয়োজন হয়, তাই মোট খরচও বাড়তে পারে।

এছাড়া, যদি চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী হয় বা উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তাহলে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে বীমা পরিকল্পনা থাকলে সেই অনুযায়ী খরচ কমতেও পারে।

এই চিকিৎসাটি সাধারণত নিরাপদ এবং কার্যকরী, তাই খরচের কথা চিন্তা না করে, মানসিক সুস্থতার জন্য এটি ভালো একটি বিকল্প হতে পারে।

তথ্যসূত্র

HEALTH CARE UNIVERSITY OF UTAH – Shockwave Therapy for Erectile Dysfunction (ED)

NATIONAL ASSOCIATION FOR CONTINENCE – PELVIC FLOOR STIMULATION

Mayo Clinic – Acupuncture

Medical News Today –  What is ozone therapy? Benefits and risks 

WebMD – What to Know About Repetitive Transcranial Magnetic Stimulation (rTMS)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top