প্রস্রাব সম্পূর্ণ না হওয়া
একজন স্বাভবিক মানুষ দিনে প্রায় ৮০০-২০০০ মি.লি. প্রস্রাব করে থাকে কিন্তু কিডনি বা মুত্রনালীর কোন সমস্যার হয়ে থাকলে প্রস্রাব এর পরিমাণ এর থেকে কমে যেতে পারে আবার প্রস্রাব হলেও তা পুরোপুরি না হতে পারে। সাধারণত যারা একটু বয়স্ক তারা তুলনামূলক এই সমস্যায় বেশী ভুগেন।
প্রস্রাব সম্পূর্ণ না হওয়া কারণ
- মুত্রনালীর কোন পরজীবির সংক্রমন: মুত্রনালীতে কোন পরজীবি (ব্যাকটেরিয়া) এর কারনে প্রস্রাব সম্পূর্ণ না হতে পারে। এই সমস্যা হলে প্রস্রাব সম্পূর্ণ না হওয়ার পাশাপাশি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবের সময়ে ব্যাথা, প্রস্রাবের সময়ে রক্ত বা পুজ ও বের হতে পারে।
- প্রস্টেট গ্রান্থির সমস্যা: প্রস্টেট গ্রন্থি যেহেতু মুত্রনালীকে ঘিরে থাকে কাজেই প্রস্টেট গ্রন্থির কোন সমস্যা ( প্রস্টেট ক্যান্সার, প্রস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ) হলে মুত্রনালীতে চাপ পরে যার ফলস্বরূপ প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়া, বারবার প্রস্রাব হওয়া এর মতো উপসর্গ দেখা যায়।
- মুত্রনালী বা কিডনির পাথর: মুত্রনালীতে বা কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাব সম্পূর্ণ না হওয়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- স্নায়বিক সমস্যা : স্ট্রোক, মেরুদন্ডে আঘাতের ফলেও প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে।
- ঔষধ:কিছু ঔষধ প্রস্রাব শরীরে ধরে রাখে এসব ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এর ফলে প্রস্রাব ক্লিয়ার মা হওয়া,প্রস্রাব আটকে থাকার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
প্রস্রাব সম্পূর্ণ না হওয়ার উপসর্গ
- প্রস্রাব আটকে থাকা।
- প্রস্রাব এর পরে তৃপ্তি না আসা পেট ভারি মনে হওয়া।
- বারবার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া।
- তলপেটে ব্যাথা।
- প্রস্রাবের সাথে রক্ত বা পুজ বের হওয়া।
প্রস্রাব সম্পূর্ণ না হওয়ার চিকিৎসা ও করনীয়
- প্রস্রাব আটকে যাওয়ার চিকিৎসা নির্ভর করবে সমস্যার উপর। যদি হঠাৎ প্রস্রাব কমে যায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত।
- যদি প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধিজনিত কোন সমস্যা থেকে থাকে তার চিকিৎসা করা যেমন- শকওয়েভ থেরাপি, আকুপাংচার।
- আকুপাংচার, এসব সমস্যায় আকুপাংচার খুবই কার্যকরী একটি চিকিৎসা পদ্ধতি।
- পেলভিক ফ্লোর মাংশপেশীর পুনর্বাসন।
এছাড়া এই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে কিছু করনীয়
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া।
- যেসব খাবার প্রস্রাব ধরে রাখে এসব খাবার এড়িয়ে চলা।
- যেসব ঔষধ প্রস্রাব ধরে রাখার কাজ করে চিকিৎসক এর পরামর্শে সম্ভব হলে ওই ঔষধ এর পরিবর্তে অন্য ঔষধ ব্যবহার করা।