Yes Men

পুরুষের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় জেনে নিন!!

পুরুষের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় জেনে নিন!!

গোপনাঙ্গের দুর্গন্ধ, বিশেষত পুরুষদের ক্ষেত্রে, এক সাধারণ সমস্যা যা প্রায়ই লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যাটি শুধু ব্যক্তিগত অস্বস্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি অন্যদের সামনেও বিব্রতকর হতে পারে, বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে বা যখন পোশাকেও দুর্গন্ধ থেকে যায়। তবে, কিছু সহজ নিয়ম ও প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করলে এ সমস্যা দূর করা সম্ভব। পুরুষের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানা এবং এ সমস্যার মূল কারণগুলো বুঝে সঠিক উপায়ে তা মোকাবেলা করলেই আপনি স্বস্তি পেতে পারেন। গরমকালে যখন ঘাম ও আর্দ্রতা বেড়ে যায়, তখন এই দুর্গন্ধের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। সঠিক যত্ন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে আপনি এই সমস্যাটি সহজেই মোকাবিলা করতে পারবেন।

পুরুষের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় জেনে নিন!!

গোপনাঙ্গের দুর্গন্ধের কারণ

পুরুষদের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ বেশ কিছু কারণে হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হলো:

  • অতিরিক্ত ঘাম: গ্রীষ্মের সময়ে ঘাম স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়, এবং বিশেষ করে স্পর্শকাতর অঞ্চলে, যা দুর্গন্ধের প্রধান কারণ।
  • ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ: ঘামের কারণে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বাড়তে পারে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো শরীরের প্রাকৃতিক তেলের সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
  • ইস্ট ইনফেকশন: ইস্ট ইনফেকশনও লজ্জাস্থানে দুর্গন্ধের একটি কারণ হতে পারে। আর্দ্র পরিবেশ ইস্টের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে, যা থেকে বিকট গন্ধ সৃষ্টি হয়।
  • অপরিচ্ছন্নতা: লজ্জাস্থান নিয়মিত পরিষ্কার না করলে দুর্গন্ধ হতে পারে। অপরিষ্কার অন্তর্বাস বা পোশাক ব্যবহারের ফলেও দুর্গন্ধ বাড়ে।

পুরুষের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় জেনে নিন!!

পুরুষের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার ১১ টি কার্যকর উপায়

পুরুষদের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার ১১ টি কার্যকর উপায় গুলো কি কি চলুন দেখে নেওয়া যাক —

সঠিক অন্তর্বাস বেছে নিন

গরমের সময় ঘাম বেশি হয়, এবং সেই ঘাম ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে, আপনাকে অবশ্যই সঠিক ধরনের অন্তর্বাস পরতে হবে। সিনথেটিক বা পলিয়েস্টার অন্তর্বাস এড়িয়ে চলুন। কারণ, এই ধরনের কাপড় ত্বকের শ্বাস নেওয়া বাধাগ্রস্ত করে এবং ঘাম ধরে রাখে, ফলে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি সহজতর হয়। এর পরিবর্তে, সুতির তৈরি পাতলা অন্তর্বাস ব্যবহার করুন যা ত্বককে শ্বাস নিতে সহায়তা করে এবং ঘাম শুষে নেয়।

নিয়মিত অন্তর্বাস পরিবর্তন করুন

সঠিক অন্তর্বাস পরিধানের পাশাপাশি, প্রতিদিন অন্তত দুইবার অন্তর্বাস বদলান। একটি অন্তর্বাস একবারের বেশি পরিধান করা উচিত নয়। ঘাম ও ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তাই প্রতিবার ব্যবহারের পরপরই অন্তর্বাস ধুয়ে পরিষ্কার করুন। ধোয়া অন্তর্বাস ভালো করে রোদে শুকান, কারণ রোদে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়।

নিয়মিত পরিষ্কার করা

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা পুরুষদের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত ২-৩ বার হালকা গরম পানি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করে লজ্জাস্থান ধুয়ে পরিষ্কার করুন। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে আসে এবং দুর্গন্ধও দূর হয়। পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ভালো করে শুকিয়ে নিন, কারণ আর্দ্রতা থেকে গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। যদি পুরো দিন বাইরে থাকতে হয়, তাহলে কিছু সময় পরপর পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

ডেটল বা স্যাভলন ব্যবহার

আপনার অন্তর্বাস ধোয়ার সময় ডেটল বা স্যাভলন মেশানো পানি ব্যবহার করুন। ডেটল ও স্যাভলনের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পরিষ্কার অন্তর্বাস পরিধান করলে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির সুযোগ কমে যায়, এবং ফলস্বরূপ দুর্গন্ধও কমে আসে।

বেকিং সোডা ব্যবহার

বেকিং সোডা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা দুর্গন্ধের কারণ হওয়া ব্যাকটেরিয়া ও ইস্ট দূর করতে সাহায্য করে। এটি দ্রুত দুর্গন্ধ শোষণ করে এবং আপনাকে দীর্ঘসময় সতেজ থাকতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে ১/২ কাপ বেকিং সোডা একটি বাথটাবে মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপর ওই পানিতে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকুন। যদি বাথটাবে বসা সম্ভব না হয়, তাহলে পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে গোপন অঙ্গ ধুয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি গন্ধ দূর করার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখবে।

পুরুষের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় জেনে নিন!!

নিমপাতার ব্যবহার

নিমপাতা প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণে ভরপুর, যা ইস্ট ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন গোপন অঙ্গ ধোয়ার জন্য আপনি নিমপাতা ফুটানো পানি ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা ফুটিয়ে পানি ঠাণ্ডা করে নিন, তারপর এই পানি দিয়ে গোপন অঙ্গ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই উপায়টি দ্রুত কার্যকর হয় এবং যেকোনো ধরনের সংক্রমণ থেকে আপনাকে রক্ষা করে।

টক দই খান

লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ কমানোর আরেকটি সহজ উপায় হলো প্রতিদিন দুই কাপ টক দই খাওয়া। টক দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরের অভ্যন্তরীণ ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে, যা ইস্ট ইনফেকশন ও দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। টক দই খেলে শুধুমাত্র বাইরের যত্নই নয়, শরীরের ভেতর থেকেও আপনাকে সতেজ রাখে, এবং গোপন অঙ্গের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির হার কমায়।

নারকেল তেল ও পুদিনা তেল ব্যবহার

নারকেল তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ অনেক সময় দুর্গন্ধ দূর করতে দারুণ কার্যকর। প্রতিদিন সামান্য নারকেল তেল লজ্জাস্থানের বাইরের ত্বকে লাগালে ব্যাকটেরিয়া কমে আসে, যা দুর্গন্ধও কমিয়ে দেয়। এছাড়া, পুদিনা পাতার তেলও গোপন অঙ্গের দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়ক। এক কাপ জলে কয়েক ফোঁটা পুদিনা পাতার তেল মিশিয়ে নিন, তারপর সেই জল দিয়ে যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলুন। এটি ঠাণ্ডা অনুভূতি দেবে এবং দুর্গন্ধ কমিয়ে আনবে।

সুগন্ধি পাউডার ও পারফিউম

যদি আপনি পাউডার ব্যবহার করতে চান, তবে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও সুগন্ধি পাউডার ব্যবহার করুন। তবে, দীর্ঘ সময় একই জায়গায় পাউডার দিয়ে রাখবেন না। আন্ডারওয়্যার পরার আগে সামান্য পারফিউম স্প্রে করতে পারেন, তবে খুব বেশি না, কারণ পারফিউমে থাকা রাসায়নিক ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

যদি আপনি দেখেন যে প্রস্রাব চুইয়ে চুইয়ে এসে আন্ডারওয়্যার ভিজে যায়, তবে এ সমস্যা চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। এমন অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ এটি একটি গুরুতর শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত। যৌন সমস্যার স্থায়ী সমাধান পেতে ভিসিট করুণ “ইয়েস মেনে”। বনানী শাখায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে কল করুন: +8801753631846 এবং উত্তরা শাখায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে কল করুন: +8801305301247.

বিস্তারিত জানুন: প্রথম সহবাসে ব্যথা না পাওয়ার উপায় | সহবাসে ব্যথা হয় কেন?

 

তথ্য সূত্র

Healthline — What Causes a Smelly Penis and How Is It Treated?

Health — Why Does My Penis Smell?

Vinmec — The reason why a man’s penis has an unpleasant odor

সাধারণ জিজ্ঞাসা

যদি সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরও শরীরের গন্ধ অব্যাহত থাকে, তাহলে এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, সংক্রমণ বা বিপাকজনিত সমস্যার মতো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।গুরুতর কোনো সমস্যা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেতে, একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top